পাতা:কলিকাতার ইতিহাস.djvu/৬১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৫৬
কলিকাতার ইতিহাস।

পূর্ব্বে তিনি এইরূপ ভাবে চিকিৎসিত হইতেন, যেন যকৃতে স্ফোটক হইছে; কিন্তু তাহা যদি সত্য সত্যই হইত, তাহা হইলে তাহাকে শমনভবনে যাইতে হইত। ঐ কথাটা নিতান্ত অসম্ভব হইলেও, স্ফোটক সম্বন্ধে তাহার মনোভাব কিরূপ ছিল, তাহা ইহা দ্বারা বেশ বুঝা যাইতেছে।

 অষ্টাদশ শতাব্দীর মধ্যভাগে যে কয়েক প্রকার জ্বরের প্রাদুর্ভাব ছিল, তৎসম্বন্ধে ডাক্তার লিণ্ড লিখিয়াছেন;—

 “ব্যাধিসমূহ প্রধানতঃ অবিরাম বা সবিরাম শ্রেণীর জ্বর; কখন কখন ঐ সকল জ্বর আরম্ভ হয়। ক্রমিক চড়িতে থাকে এবং কয়েক দিন যাবৎ স্পষ্ট বিরামের কোনওরূপ চিহ্ন বুঝিতে পারা যায় না, কিন্তু সাধারণতঃ মধ্যে মধ্যে বিরাম হইয়া থাকে। তাহাদের সহিত প্রায়ই প্রবল কম্পন হয় এবং সঙ্গে সঙ্গে উর্দ্ধাভিমুখে দুই দিকেই পিত্তনিঃসরণ হইতোকে। ঋতুটি যদি খুব ব্যাধিসঞ্চারপ্রবণ হয়, তাহা হইলে কেহ কেহ উৎকট জ্বরে আক্রান্ত হইয়া অচিরে পঞ্চত্ব প্রাপ্ত হয়; সমস্ত শরীর সীসবর্ণ চাকুরা চাকুরা দাগে সমাচ্ছন্ন হয়, এবং শবদেহ কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই সম্পূর্ণ কৃষ্ণবর্ণ হইয়া গলিত হইয়া উঠে। এই সময়ে ভেদও প্রবল হয়। আর এক প্রকার ভেদের সহিত অন্ত্র প্রবাহ থাকে, তাহা হইতে এই গুলিকে পৃথক্ কবির নিমিত্ত ইহাদ কে পৈত্তিক বা দূষিত বলা যাইতে পারে। বঙ্গদেশে এ সমস্ত রোগে ‘ল্যান্সেট '(ছুরিকাস্ত্র) খুব সাবধানে ব্যবহার করা উচিত অনেকে বলেন, বাঙ্গালার সবিরাম জ্বরের উপর চন্দ্রের বা জোয়ার ভাটার আশ্চর্য্য প্রভাব দৃষ্ট হয়। একান্ত সত্যবাদী ও চিকিৎসাশাস্ত্রে প্রচুর জ্ঞানবিশিষ্ট জনৈক ভদ্রলোক আমাকে বলিয়াছেন যে, বাঙ্গালার জ্বরে কোন্