পাতা:কলিকাতার ইতিহাস.djvu/৬৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
চতুর্থ অধ্যায়।
৬১

দস্তুরি পাওনা ছিল এমন কি ম্যাডিকা নামক মদ্যও বাদ যাইত। না। হ্যামিল্টন সাহেব বলেন;— এই সময় (১৭০৯) ডাক্তারদের বিদ্যাবুদ্ধি তেমন ভাল ছিল না, তাঁহার। তেমন বেতনও পাইতেন না। হাড়ির একটা ভাত টিপিলেই সমস্ত ভাতের অবস্থা বুঝিতে পারা যায়; বোম্বাই প্রদেশের একজন গবর্ণরের সম্বন্ধে এইরূপ একটা গল্প প্রচলিত আছে যে, এক সময়ে তিনি ব্যয় লাঘবসাধন দ্বারা তাহার ইংলণ্ডস্থ মাননীয় প্রভুর অনুরাগ আকর্ষণ করিবার অভিলাষী হইয়া দেখিলেন যে, ডাক্তারের বেতন মাসিক ৪২ টাকা; ইহা দেখিয়া তিনি বলিলেন, এ বিষয়ে অবশ্যই কোনও প্রকার ভুল হইয়াছে, অঙ্ক দুইটি উলটপালট হইয়া গিয়াছে’ এই কথা বলিয়াই তিনি কলমের এক খোঁচায় ৪২ টাকার পরিবর্তে ২৪ টাকা লিখিয়া ফেলিলেন।”

 ১৭৮০ অব্দে কলিকাতার কোনও ইংরেজী সাময়িক পত্রে এ সম্বন্ধে একটি সুন্দর সরস ব্যঙ্গকবিতা প্রকাশিত হইয়াছিল। আমরা এস্থলে তাহার মর্মার্থ উদ্ধৃত করিলাম। ‘ বলা বাহুল্য, অনুবাদে মুলের সৌন্দর্য্য বা রস রক্ষা করা অসাধ্য।

 “যে সকল ডাক্তার কখনও লীডেন বা ফার্ণ্ডাস দেখে নাই, তাহারা যুক্তিবিরুদ্ধ পথে চলে, এবং রক্তহীনতা (নেবা) রোগে রক্ত মোক্ষণ করার। যদি তোমার স্ত্রীর শিরঃপীড়া হইয়া থাকে, তাহা হইলে সাঙ্গোড্রা[১] সাহেবকে ডাকাইয়া ভোমার পত্নীকে স্পর্শ করিতে দাও; সে শুকর-ধাতক কসাইয়ের মত অবি-

  1. শাঙ্গোড্রা সুবিখাত 'জিলাব্লান’ নামক উপন্যাসের একটি চরিত্র— জন প্রসিদ্ধ ডাকাররূপে চিত্রিত; রক্তমোক্ষণই তাঁর একমাত্র চিকিৎসা প্রণালী।