পাতা:কলিকাতার ইতিহাস.djvu/৭৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
চতুর্থ অধ্যায়।
৬৯

রিপোর্ট লিপিবদ্ধ করেন, তদৃষ্টে উক্ত মাকুইস্ মাহাত্ম। এবিষয়ে কিরূপ আন্তরিক যত্ন প্রকাশ করিয়াছিলেন, তাহা বিলক্ষণ বুঝিতে পারা যায়। তিনি গবর্ণমেণ্টের ধনাগার উন্মুক্ত করিয়া ছাড়িয়া দিয়াছিলেন। পয়ঃপ্রণালীসমুহের সংস্কারসাধনের দিকেই তাহার প্রথম মনোহোগ আকৃষ্ট হয়। এ সম্বন্ধে তাহার নিজ উক্তির ধর্ম উদ্ধৃত করাই সঙ্গত বোধ হইতেছে;—“বর্ষাকালের শেষভাগে কলিকাতার স্বাস্থ্য যে অত্যন্ত বিকৃত হইয়া উঠে, তাহার কারণ- সন্ধানে প্রবৃত্ত হইলে দেখা যায় যে, নর্দাম ও পয়ঃপ্রণালীসমূহের কদর্য অবস্থা এবং সহরের মধ্যে ও তাহার সন্নিহিত স্থানসমূহে জল জমিয়া থাকাই তাহার প্রধান কারণ।” উক্ত মহানুভব এইরূপ অভিপ্রায় প্রকাশ করিয়াছেন যে, “ভারতবর্ষ শাসন করিতে হইলে, রাজপ্রাসাদে থাকিয়া রাজার ন্যায় মনোভাব লইয়া ঐ কার্য করা উচিত, সামান্য দোকানঘরে থাকিয়া মখমল ও নীলের খুচরা দোকানদারের মনোভাব লইয়া ভারতবর্ষ শাসন করা শোভা পায় না।” গভর্ণর ভ্যানসিটার্ট, লর্ড ক্লাইভ, গভর্ণর ভেরেলেষ্ট, গভর্ণর কাটিয়ার, গভর্ণর জেনারেল ওয়ারেণ হেষ্টিংস, ইহারাও নগরের পরিচ্ছন্নতা বিধান করিবার ও ইহাকে মুখস্বচ্ছন্দকর ও স্বাস্থ্যকর স্থানে পরিণত করিবার পক্ষে যত্ন চেষ্টার ত্রুটি করেন নাই। সার উইলিয়াম হণ্টার বলেনঃ—“যখন হেষ্টিংস সাহেব শাসনকর্তা হইলেন, তখন আরও কয়েকটি নূতন বিধি প্রণয়ন করিলেন, পুলিসের কর্মচারীদিগকে আরও কিঞ্চিৎ অধিক ক্ষমতা দিলেন, কৃষ্ণ ও শ্বেত সহরকে ৩৫টি ওয়ার্ডে বিভাগে বিভক্ত করিলেন, এবং দেশীয়দিগের আরও কিঞ্চিৎ দূরে সরিয়া যাইবার সম্মতি ক্রয় করিলেন।”