পাতা:কলিকাতা কল্পলতা - রঙ্গলাল বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৭০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কলিকাতা কল্পলতা ! জয়নারায়ণকলেজ নামে কাশীতেবিরাজমান রহিয়াছে। ইহা ব্যতীত আরও অনেক সকাৰ্য্যের প্রতিষ্ঠা করেন। বারাণসীতে মহারাষ্ট্রীয়, মুসলমানীয়ও উত্তর পশ্চিমাঞ্চলীয় যেসকল রাজন্যবর্গ গভর্ণমেন্টের বৃত্তিভােগী হইয়া জীবন-যাপন করিতেন, তাহাদিগের উপকারার্থ তিনি বিশেষ যত্ন করিতেন। যেহেতু তিনি ইংলণ্ডীয় প্রধান মণ্ডলে অত্যন্ত গণ্যমান্য ছিলেন, কোন মান্য পরিবারের কোন বিষয়ে অসম্মান বা অস্বাচ্ছন্দ্য উপস্থিত হইলে তাহারা ঘােষাল মহাশয়ের আশ্রয় গ্রহণ করিলেইকৃতকার্য হইতেন। এজন্য তাহারা সকলেই তাঁহাকে বাবা জয়নারায়ণ নামে সম্বােধন করিতেন কারণ তিনি স্বার্থত্যাগী হইয়া পরােপকার ব্রত পালন করিতেন এবং এইজন্য দিল্লীশ্বর তাহাকে মহারাজা বাহাদুর’ উপাধি প্রদান করেন। সেই রাজকীয় সম্মান চিহ্ন ঘােষাল মহাশয়েরা আজিও বৃটিশ গভর্ণমেন্টের অনুগ্রহে ভােগ করিতেছেন। জয়নারায়ণ ঘােষাল কোন ধর্মের বিপক্ষ ছিলেন না। তিনি বারাণসীতে এক সভাতে বসিয়া বেদ, বাইবেল, কোরাণ প্রভৃতি সৰ্ব্বপ্রকার মতাবলম্বী মনুষ্যদিগকে লইয়া আমােদকরিতেন। তিনি এক সংবাদপত্র প্রচারের অনুষ্ঠান করেন। ঐ অনুষ্ঠানপত্র বিশুদ্ধ ইংরাজী ভাষায় লিখিত আছে। দেশকাল পাত্র বিবেচনা করিলে সে সময়ে এমন বিষয়ে অনুষ্ঠান আশ্চৰ্যজনক সন্দেহকি? অন্যদিকে তিনি মনে মনে এদেশীয় কৌলীন্য মৰ্য্যাদার প্রতিকূল ছিলেন—কারণ তাহার রচিত “কুলীন কন্যার উক্তি”শীর্ষকরহস্যজনক এক গীতেই তাহার বিলক্ষণ প্রমাণ পাওয়া যাইতেছে। যথা— গীত হায়! কবে লাগিবেলগন। পতি বিনে হত গত জীবন যৌবন

90

৭০
৭০