পাতা:কলিকাতা কল্পলতা - রঙ্গলাল বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৮৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সপ্তম অধ্যায় – নবকৃষ্ণের নিকট প্রদান করিবেন। কোনরূপে কেহইহার বিপর্যয় করিতে পারিবেন না। রাজা নবকৃষ্ণ একজন অগ্রগণ্য পণ্ডিত-বন্ধু ছিলেন। বাঙ্গালাদেশের ও পশ্চিম প্রদেশের প্রসিদ্ধব্রাহ্মণ পণ্ডিতেরা তাহার সভাস্থ হইতেন। সুবিখ্যাত জগন্নাথ তর্ক-পঞ্চানন এবং বাণেশ্বর বিদ্যালঙ্কার তাহার সভাশােভনের প্রকৃষ্টরত্ন ছিলেন।সভাতেনানা শাস্ত্র-বিষয়ক বাকবিতণ্ডা উপস্থিত হইলেতাহাতে যাঁহারাজয়লাভ করিতেন,তাহাদিগকেরাজা আশার অতীতপুরস্কার প্রদান করিতেন। তিনি ভারতবর্ষের নানা দেশ হইতে বহুমূল্য দুর্লভসংস্কৃতও পারশ্য গ্রন্থসকল আনিতে ব্যয়ের অবশেষ রাখিতেননা। সেইসকল গ্রন্থের সুচারু অক্ষরমালার প্রতিলিপিকরাতেতাঁহার বিষয় বিভবাদির মধ্যে ঐ সকল গ্রন্থ অতুল্য ও অমূল্য রূপে পরিগণিত হইয়াছে। তিনি তৌত্রিকের একজন অগ্রগণ্য প্রেমিক ছিলেন। কোন কাৰ্যোপলক্ষহইলে দূর-দূরান্তরবরাজন্যবর্গেরসভাহইতে গায়ক গায়িকাগণ শােভাবাজারের রাজনিকেতনে আসিয়াগুণ প্রদর্শনপূর্বক যথাযােগ্য পুরস্কারলাভে পরিতুষ্ট হইয়া যাইত। ইহার উপর তাহার পৌত্র রাজা রাধাকান্তের সহিত রামকান্ত সিংহ চৌধুরী নামক কায়স্থ গােষ্ঠীপতির কন্যার পরিণয় সম্পাদন ও তদুপলক্ষে বিস্তর ব্যয়ে ঘটক কুলীনের এক-যাই করাতে সকলে তাহাকে গােষ্ঠীপতিত্বে বরণ করিয়া তদবধি সর্বাগ্রে মাল্য চন্দন প্রদান করিতে লাগিলেন। রাজা নবকৃষ্ণ কত বড় ধনবান হইয়া উঠিয়াছিলেন তাহার যদিও বহু দৃষ্টান্ত আছেকিন্তু তন্মধ্যে নিম্নলিখিত বিষয়টি সাধারণের মধ্যে সুপ্রাপ্য নহে। মেজর আতাম সাহেব একদা মীরকাশেমের সহিত যুদ্ধ করিতেছেন এমন সময়ে ইংরাজ শিবিরে গুলির অনটন হইলে

bro

৮৩
৮৩