পাতা:কলিকাতা কল্পলতা - রঙ্গলাল বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৯৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

-- অষ্টম অধ্যায় ইং ১৭৪৬ অব্দের জুন মাসে সিক্কা এক টাকা বিঘাগারে খাজনা দিয়া নবদ্বীপাধিপতি প্রভৃতিভূম্যধিকারীগণের নিকট হইতে ইংরাজেরা বেনীয়াপুকুর, পাগলাডেঙ্গা, টেঙ্গরা ও দোলণ্ডা এই কয়েক স্থান বন্দোবস্ত করিয়া লন। ঐ কয়েক স্থান জননগর মণ্ডে নিবিষ্ট হয়। রাজা কৃষ্ণচন্দ্রের জনৈক গােমস্তা ঐ সকল স্থানের অন্তঃপাতী ৪২ বিঘা ভূমির জন্য কোম্পানীর কাছে বার্ষিক সেলামী চাহিয়া পাঠাইয়াছিল কিন্তু হলওয়েল সাহেব গভর্ণর ড্রেসাহেবকে লেখেন এরূপ সেলামী দিলে কোম্পানীর অপমানের পরিসীমা থাকিবে —অতএব তাহা না দেওয়া কৰ্ত্তব্য।ইহা অপেক্ষা আর কমলার চঞ্চলতার প্রকৃষ্ট প্রমাণ কি আছে? যে কৃষ্ণচন্দ্র রায়ের ভৃত্যগণ কোম্পানীর কাছে সেলামী প্রার্থনা করিত, সেই কৃষ্ণচন্দ্র রায়ের উত্তরাধিকারীগণকে এক্ষণে কোম্পানীর ভৃত্য অর্থাৎ গভর্ণর জেনারেল প্রভৃতিকে সেলাম প্রদানকল্পেও অন্য লােকের উপাসনা করিতে হয়। পাঠক মহাশয়েরা উপরিলিখিত সংক্ষিপ্ত বিবরণ পাঠ করিয়া বিবেচনা করুন—এখন কলিকাতায় যেমন অনেক নূতন নূতনহাট ও বাজারাদি প্রস্তুত হইয়াছে—তেমনি কতকগুলি বাণিজ্যস্থান একেবারে বিলুপ্তহইয়া গিয়াছে! যথা:-বেগমবাজার, গােষ্টতলা বাজার ইত্যাদি। তবে আমরা যে সকল হাটবাজারের কথা লিখিলাম, সেগুলি প্রথম অবস্থায় অধিকাংশজঙ্গলও জলাময়ছিল। গঙ্গাতীরেই ভদ্র লােকেরা বাস করিতেন; তাহার প্রমাণ কলিকাতার বুনিয়াদী বড় মানুষ বলিয়া যাঁহাদিগকে গণ্য করা যায়, তাঁহাদের সকলের আদ্যনিবাস আজিও গঙ্গাতীরে বর্তমান রহিয়াছে।এখনকলিকাতার মধ্যভাগে শেঠের বাগান, কলাবাগান, জোড়াবাগান, চোরবাগান

প্রভৃতি যে সকল জনাকীর্ণ স্থান দৃষ্ট হয়, পূৰ্ব্বে সে সকল স্থান

৯৫
৯৫