পাতা:কলিকাতা কল্পলতা - রঙ্গলাল বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৯৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অষ্টম অধ্যায় বর্ষাকালে সেখানকার পথ ঘােরতর পঙ্কিলহইবার নিমিত্ত লােকের গমনাগমন রহিত হইত। অধুনা যে বাটীতে পুলিশ রহিয়াছে ঐ বাটীতে বণিকরাজ জন পামার সাহেব বাস করিতেন। ইহার পিতা হেষ্টিংশ সাহেবের সেক্রেটারী ছিলেন। জন্ পামার সাহেব অতিশয় দানশীল ও উদারস্বভাব হওয়ায় তাহার বণিকরাজ”উপাধি বিখ্যাত হয় ইনি ১৮৩৬ অব্দে লােকান্তরিত হন।ইহার অনুগ্রহেই শ্রীরামপুর নিবাসী রঘু গােস্বামী ধনবান হইয়া উঠেন। পামার সাহেবের বাটীর অন্য পার্শ্বেইপূৰ্ব্বেকলিকাতার কারাগারছিল।ইং ১৮০০অব্দেব্রজমােহন দত্ত নামক এক ব্যক্তি একটা ওয়াচ ঘটিকা অপহরণ অপরাধে ফাসীদণ্ডপ্রাপ্ত হয়। ধৰ্ম্মতলার পূৰ্ব্বনাম এভেন্যু অর্থাৎবারাসৎ, কারণ তাহার উভয় পার্শ্বেবৃক্ষশ্রেণী ছিল। ধর্মতলা নাম হইবার কারণ এই যে হেষ্টিংশ সাহেবের জমাদার জাফের নামক এক মুসলমান, যেখানে এখন কুকের আড়গড়া রহিয়াছে সেখানে এক মসজিদ নির্মাণ করে। পরে সেই স্থানে বর্ষে বর্ষেকাব্বালার সময় সহস্র সহস্র মুসলমান একত্র হইতে থাকিলে ধৰ্ম্মতলা নাম হয়। এই ধৰ্ম্মতলার উত্তর পার্শ্বে এক খাল ছিল তাহাচাদপাল ঘাটের নীচে গঙ্গার সহিত সংযুক্ত থাকাতে উত্তরকালে নগর পরিষ্কার-রক্ষণের বিশিষ্ট উপায় ছিল। কর্ণেল ফস সাহেব লেখেন যে ঐ খালের পরিসর বৃদ্ধি করিয়া দিলে তাহাতে স্বচ্ছন্দে বড় বড় মহাজনী নৌকা গমনাগমন করিতে পাবিত।এইখাল থাকাতেইমধ্যে মধ্যে বাদামিয়া দিঘির ধনামিয়া থাকে।

আড়গড়া • আস্তাবল

৯৯

৯৯
৯৯