পাতা:কলিকাতা সেকালের ও একালের.djvu/১০০১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শ্রেণী তিনিই নিৰ্ম্মাণ করাইয়া দেন। উহার সময়ে, তিনি সৰ্ব্বসন্মতিক্রমে । ছিন্দুসমাজের নেতৃত্বস্থান অধিকার করিয়াছিলেন । ” . মহারাজ রাজেক্স কৃষ্ণচন্দ্র বাছাছুরের সময়ে নদীর রাজ্যের যশ ও প্রতিপত্তি এবং আয়তন যথেষ্ট বৃদ্ধি প্রাপ্ত হয়। কবি ভারতচক্সের কালিক+ k মঙ্গলে প্রকাশ-~ % 象 রাজ্যের উত্তর সীমা মুরশীদাবাদ পশ্চিমের সীমা গঙ্গা ভাগীরথীথীদ । দক্ষিণের সীমা গঙ্গাসাগরের ধার পূৰ্ব্বসীমা ধুলাপুর বড়গঙ্গাপার। মহারাজ কৃষ্ণচন্দ্র চারি সমাজের অর্থাৎ নবদ্বীপ, অগ্রদ্বীপ, চক্রদ্বীপ ও কুশদ্বীপের কৰ্ত্ত ছিলেন। নদীয়া জেলার এমন কোন ব্রাহ্মণ নাই, যিনি মহারাজ বাহাদুরের প্রদত্ত ব্রহ্মোত্তর পান নাই । অপরিসীম দানশীলতার জন্তই নদীয়ারাজ্যের রাজুকোষ শূন্য হইয় পড়ে। এই জন্যই এক এক সময়ে সরকারী সদর-মালগুজারি দিতে অপারক হইয়া মহারাজ কৃষ্ণচন্দ্র নবাব কর্তৃক্ষ কারারুদ্ধ হইতেন। কৃষ্ণচন্ত্রের একখানি দানপত্র স্থানান্তরে প্রকাশিত হইল । মহারাজ কৃষ্ণচন্দ্র, তাহার সমসাময়িক রাণী ভবানীর মত দানশীলতার জন্য যথেষ্ট প্রসিদ্ধিলাভ করেন। নবদ্বীপের গৌরব রবি, তাহার সময়েই পুনরায় প্রবল তেজে জলিয়া উঠে। আবার তাহার সঙ্গে সঙ্গেই তাহ নিৰ্ব্বাপিত হইয়া যায়। * শাস্তিপুরের লক্ষ্মীতলা-পাড়ায় সুপ্রসিদ্ধ নৈয়ায়িক পণ্ডিত, রাজেন্দ্র বিদ্যাবাগীশ মহাশয় মহারাজের গুরু ছিলেন । কোন কারণে রাজার সহিত মনোমালিন্য হওয়ায়, তিনি তাহার সাহচৰ্য্য ত্যাগ করেন। মহারাজা কৃষ্ণচন্দ্রের শাসনকালে, বাঙ্গালার রাজনৈতিক অবস্থা অত্যন্ত মন্ম হইয়া আসিয়াছিল। নবাব সিরাজউদৌলার সহিত ইংরাজগণের বিবাদকালে, তিনি নবাব কর্তৃক উৎপীড়িত হইয়া, ইংরাজগণের পক্ষ গ্রহণ করিয়াছিলেন। এই মহারাজা কৃষ্ণচজ ইংরাজগণকে যে অমূল্য সাহায্য প্রদান করিয়াছিলেন, তাহার পুরস্কার স্বরূপ লর্ড ক্লাইভ তাহাকে “রাজেন্দ্র-বাহাদুর" উপাধি এবং পলাশীর যুদ্ধক্ষেত্রে ব্যবহৃত বারটা কণমান উপহার স্বরূপ প্রদান করেন। এই কামানগুলি জাপিও · নদীয়ার রাজবাটাতে দেখিতে পাওয়া বায়। * . মহারাজা কৃষ্ণচন্দ্র ১৭৮২ খ্ৰীঃ অঙ্কে ৭৩ বৎসর বয়সে দেহত্যাগ করিঙ্গে, 診