পাতা:কলিকাতা সেকালের ও একালের.djvu/১০১১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পঞ্চবিংশ অধ্যায় । , *७६ কালে উহার নাম বঙ্গবাসীর নিকট'অজানিত নহে। ধনীসন্তান হইয়াও, তিনি বিশ্রামাবসর কাল বঙ্গ-সাহিত্যালোচনায় কাটাইয়া থাকেন । studies নামক একখানি চিন্তাপ্রস্থত ইংরাজি-গ্ৰন্থ ও “বিজয়-গীতিক।" নামক গ্রন্থখানি মহারাজের ইংরাজী ও বঙ্গভাষায়ুশীলনের ফল। সম্প্রতি মহারাজ-বাহাদুর ভারতবর্ষ নামক মাসিক পত্রিকায়; একটা ধারাবাহিক ভ্রমণ-বুঞ্জন্তু লিখিতেছেন। ১৯৯৬ খৃঃ অঙ্গে, মহারাজ বিজয়চার্দ ইউরোপে দেশভ্রমণে যান। সৰ্ব্বস্থানেই তিনি পদোচিত সম্মানলাভ করিয়াছিলেন। ১৯৯৮ খ্ৰীঃ অন্ধে, ইনি বাঙ্গলার লাট-কৌন্সিলের সদস্যরূপে মনোনীত হন। ওভারটুন ছলের প্রকাশ্য সভায় বাজলার ছোটলাট স্যর এন্ডু ফ্রেজারকে অসম সাহসের সহিত রক্ষা করিয়া, ইনি একদিন যথেষ্ট সৎসাহসের ও রাজভক্তির পরিচয় দিয়াছিলেন। এ ঘটনা এখনও অনেকের স্মৃতিপথে জাগরুক । এই সৎসাহসের ও রাজভক্তির পুরস্কার স্বরূপ ১৯০৯ খ্ৰীঃ আৰো ইনি কে,সি, আই, ই নামক সন্মানজনক উপাধি প্রাপ্ত হন। সাধারণ হিতকর কার্য্যে বর্তমান মহারাজ বাহাদুর মুক্তহস্তে অর্থ দান করিয়া থাকেন। ১৯১০ খৃঃ অঙ্গে ইনি বড়লাটের সভার সদস্যরূপে নিৰ্ব্বাচিত হন। ভারতসম্রাট ও সাম্রাজ্ঞীর কলিকাতায় আগমনকালে, ইনি অভ্যর্থনা-সমিতির সভাপতি হইয়াছিলেন। গত বৎসরের বর্ধমান বন্যার সময়, মহারাজ বাহাদুর বহ চেষ্টা করিয়া প্রজাবর্গের কষ্ট দূর করিয়াছিলেন। মহারাজাধিরাঙ্গ বিজয়টাদ, কলিকাভ আলিপুরে “বিজয়মঞ্জিল” নামে এক শোভনদর্শন রাজপ্রাসাদ নিৰ্মাণ করাইয়াছেন। ইহাই তাহার কলিকাতার বাসভবন। ভূকৈলাস রাজবংশ। . এই প্রাচীন ও সন্ত্রাস্ত রাজবংশের প্রতিষ্ঠাতা, মহারাজা জয়নারায়ণ ঘোষাল বাহাদুর। ইনি কন্দৰ্প ঘোষালের পৌত্র। ব্রাহ্মণবংশধর পবিত্রক্ষেত এই কক্ষপ ঘোষাল, প্রচুর ধনশালী ছিলেন। সার্ধেক শতাব্দী পূর্বে তিনি বর্তমান ফোর্ট উইলিয়ম দুর্গের অধিকৃত স্থানে, প্রাচীন গোবিন্দপুর গ্রামে বাস করতেন। গোবিন্দপুর গ্রামটা কোম্পানী বাহাদুর যখন ছৰ্গনিধনের জঙ্ক অধিকার করেন, তখন তিনি খিদিরপুরে উঠিয়া যান। তাহার দুই মুদ্র কক্ষচন্দ্র ঘোষাল ও গোকুলচন্দ্ৰ ধোবাল । গোকুলচজ বাদালীর 'भागनरुडॆ पिता। ভেরেলষ্টের দেওয়ান হইয়া, প্রচুর অর্থ উপার্জন করেন। ১৭৭৯ জন্ধে দেওয়ান গোকুলচঞ্জ ঘোৰালের মৃত্যুর পর, সমস্ত সম্পত্তি,