পাতা:কলিকাতা সেকালের ও একালের.djvu/১৩৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তৃতীয় অধ্যায় । సిet কেদাররায়ের গুরু, গোসাই ভট্টাচাৰ্য্য-সহসা এই মহাবিপদ উপস্থিত দেরি, তাহার শিষ্যকে যুদ্ধ হইতে বিরত হইবার জন্য পরামর্শ দিলেন। কিন্তু কেদাররায়, সে কথায় কোন কর্ণপাত না করিয়া, গোসাই ঠাকুরকে বলিলেন--"গুরুদেব ! আপনি এমন কোন দৈবামৃষ্ঠান করুন, যাহাতে আমি যুদ্ধে জয়ী হই ।” কেদাররায়, ছিন্নমস্ত দেবীর উপাসক ছিলেন। কিন্তু উহার গুরুদেব, শিষ্যের মঙ্গলার্থে, সমর-বিজয়-দায়িনী, কালিকার মুয়ী প্রতিমা নিৰ্ম্মাণ করিয়া, তৎপূজায় প্রবৃত্ত হইলেন। প্রবাদ আছে—গোসাই ভট্টাচাৰ্য্য, বীরাচারী তান্ত্রিক ছিলেন। ইহঁারা বৈদিকাচারী বা বৈষ্ণব-সম্প্রদায়ের মত কোন পূজা-অৰ্চনাদি, প্রায়ই অনাহারে অনুষ্ঠান করিতেন না । তন্ত্রাতুযায়ী অনুষ্ঠান দ্বারা, ইষ্ট-দেবীকে অল্পব্যঞ্জনাদি উৎসর্গ করিয়া, ঐ প্রসাদ গ্ৰহণাস্তুর, গভীর নিশীথে পুনরায় দেবীর পূজাৰ্চনাদি করিতেন। গোসাই ঠাকুর দিবসে আহার করিয়া, রাত্রে । দেবীর পূজা করিতে যাওয়ায়, কেদাররায় উহাতে মনে মনে রুষ্ট হন। কিন্তু তিনি এ কাৰ্য্যের প্রতিবাদ করিয়া, গুরুদেবকে সাক্ষাৎ-সম্বন্ধেও কিছু বলিতে পারেন না। এক দিন গুরু গোসাই ঠাকুর, মধ্য রাত্রে পূজা শেষ করিয়া নিৰ্ম্মালা লইবার জন্য, কেদাররায়কে বার বার ডাকিয়া পাঠান। কিন্তু পুনঃ পুনঃ আহানে, কেদাররায় উপস্থিত না হওয়ায়, গুরুদেব মনে মনে ভাবিলেন-কেদাররায় তাহার অনুষ্ঠিত শক্তি-পূজার প্রণালী দেখিয়া, নিশ্চয়ই র্তাহার উপর অসন্তুষ্ট হইয়াছেন—এবং এই জন্যই দেবীর আশীৰ্ব্বাদ গ্রহণ করিতে আসিতেছেন না । গোসাই-ঠাকুর-কেদাররায়ের এই প্রকার ধৃষ্টতায়, বড়ই অপমানিত বোধ করিলেন। তিনি সমবেত জনমণ্ডলীকে সম্বোধন করিয়া বলিলেন— "দেখ! মৎকৃত দেবাৰ্চনার প্রতি তোমাদের রাজার বড়ই সন্দেহ ও ঘৃণা জন্মিয়াছে। আমি ত{হার কল্যাণ-কামনায়, নানাবিধ হিতকর উপদেশ প্রদান করিয়াছি—এই যুদ্ধ হইতে নিবৃত্ত হইতে বারবার পরামর্শ দিয়াছি, বাসাহের আয়ুগত্য স্বীকার করিতে বলিয়াছি—কিন্তু তিনি যখন তাহ শোনেন নাই, তখনই জানিয়াছি—তাহার কল্যাণ অসম্ভব। আমি এই দৈককার্য্যাদির অনুষ্ঠান করিয়া, তাহাকে রক্ষা করিবার চেষ্টা করিতেছিলাম, তাহাও তিনি অগ্রাহ করিলেন। অতএব তাহার অশুভ অনিবাৰ্য্য । তোমরা শচক্ষে আমার প্রভাব অবলোকন করJ" . 零 এই কথা বলিয়া, গুরুদেব গোসাই-ঠাকুর, শাণিত খঙ্গ লইয়। সেই যুগ্মী