পাতা:কলিকাতা সেকালের ও একালের.djvu/১৮২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

S8 e কলিকাতা সেকালের ও একালের । এবং নকসার চিহ্নিত করা যায়, আর কাগজাৎ ইনফেসানিতে রাখা যায়। * & কালীঘাটের সীমার মধ্যে, মৃন্ময়ী-প্রতিমা নিৰ্ম্মাণ করিয়া, কোন দেবীপূজা করিবার প্রথা নাই। যদি কেহ তাহা করিতে অভিলাষ করেন, তাহ হইলে, কালীর নিকটেই সে সমস্ত করিতে হয়। কালীঘাটের সীমার মধ্যে অপর দেবী-প্রতিমার গঠন করিয়া পূজা করার কোন বিধি নাই। কালীমন্দিরের পশ্চিমদিকে, শুধুমরায় বিগ্রহ অবস্থান করিতেছেন। শ্যামরায়ের মন্দিরের পাশ্বেই—তাহার দোলমঞ্চ। আর এক শ্যামরায় ঠাকুর, মন্দিরের বাহিরে, অর্থাৎ কালী মন্দিরের প্রবেশদ্বারের নিকট অবস্থান করিতেছেন । তাঙ্গার দরজার উপর লেখা আছে—“আদি শ্যামরায়” । এই দুইটা শ্যামরায়ের—মূৰ্ত্তি কোথা হইতে আসিল, এক্ষণে তাঁহারই আলোচনা করা যাউক। কালীর সেবায়েত হালদারগণের পূর্বপুরুষ ভবানীদাস বৈষ্ণব ছিলেন, ইহা আমরা ইতিপূৰ্ব্বেই বলিয়াছি। শ্যামরায়ের বিগ্রহকে, তিনি কালীঘাটে স্থাপন করেন। কালীর-মন্দির সে সময়ে অতি ক্ষুদ্র ছিল। স্থানাভাবে গুণমরায়কে তিনি কালীর মন্দির মধ্যেই স্থাপন করেন । ১৭২৩ খৃঃ অব্দে, মুর্শদাবাদের জনৈক ধনী কানুনগো, কালীঘাটে আসিয়া শ্যামরায়কে কালীর মন্দিরে প্রতিস্থাপিত দেখিয়া, নিজব্যয়ে শ্যামরায়ের জন্য একটী ছোট ঘর প্রস্তুত করাইয়া দেন। ইহার একু শত কুড়ি বৎসর পরে, চব্বিশ পরগণা বাওয়ালীর জমিদারদিগের পূর্বপুরুষ উদয়নারায়ণ মণ্ডল মহাশয়,শ্যামরায়ের সেই ছোট ঘরট ভাঙ্গিয়া,তৎস্থানে বৰ্ত্তমান মন্দির নিৰ্ম্মাণ করিয়া দেন। বাওয়ালীর মণ্ডল-জমীদারগণ-বৈষ্ণব ধৰ্ম্মামুসারী। টালিগঞ্জে ও তঁহাদের আদি বাসস্থান বাওয়ালীতে, তাহীদের রাসবাড়ী ও রাধাকৃষ্ণ বিগ্রহ, নবরত্ন প্রভৃতি আজও তাহাদের কীৰ্ত্তি ঘোষণা করিতেছে। এখনও প্রতিবৎসর রাসের সময়, টালিগঞ্জের মণ্ডলদের দেবালয়ে—মহাসমরোহে রাসোৎসব হইয়া থাকে। শ্যামরায়ের মন্দির-সংলগ্ন যে দোলমঞ্চটি আছে, তাহা সাহানগর নিবাসী, মদনকলে নামক এক ধনী ব্যক্তির কীৰ্ত্তি। দোলযাত্রা শ্যামরায়ের একটী প্রধান উৎসব। প্রতিবৎসর, রামনবমীর সমরে উহা মহা-সমারোহে সম্পন্ন ইয়া থাকে। পূর্বে এই রামনবমীর দোল সব শ্যামরায়ের মন্দির মধ্যে হইত। ধৰ্ম্মপ্রাণ-কলে মহাশয়, একটা

  • বর্ণাশুদ্ধি সমেত উপরে মুল দলিলের অবিকল লিপি প্রদত্ত হইল ।