পাতা:কলিকাতা সেকালের ও একালের.djvu/২৫২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ネ>8 কলিকাতা সেকালের ও একালের । এই সময়ে ঘটনাবশে ইরাজের একখানি মালপূর্ণ দেশীয় নৌকা জম করিলেন। কথাটা বঙ্গেশ্বর মীরজুমলার কাণে পৌছিল। মীরজুমলা হুগলী কুঠার অধ্যক্ষকে বলিয়া পাঠাইলেন—“পত্রপাঠ আপনারা যে মহাজন নৌকা আটক করিয়াছেন, তাহা খালাস করিয়া দিবেন। অন্যথায় আীি হুগলী আক্রমণ করিয়া আপনাদের উচ্ছেদ করিব ও বঙ্গদেশের সক, স্থান হইতেই ইংরাজ-বণিককে জন্মের মত বিতাড়িত করিব।” মন টিভিসা বলিয়া একজন ইংরাজ, হুগলীর কুঠার অধ্যক্ষ ছিলেন। তিনি এ ব্যাপারে মান্দ্রাজের কর্তৃপক্ষদের আদেশ ও পরামর্শ প্রার্থনা করিলে মাম্রাজের কৰ্ত্তারা বলিয়া পাঠাইলেন,—“মীরজুমলার সহিত বিবাদে কোন প্রয়োজন নাই, যে নৌকা তোমরা আটক করিয়াছ, তাহ ছাড়িয়া দাও এবং মুবাদারের নিকট ক্ষমাপ্রার্থনা কর” । টিভিসা সে যাত্রা এই ব্যবস্থায় মীরজুমলার হস্ত হইতে অব্যাহতি লাভ করিলেন এবং ইংরাজ কোম্পানীকে মোগল শাসন-কৰ্ত্তার অভিপ্রায়মত, বাৎসরিক তিন সহস্র মুদ্র, শুদ্ধরূপে দিতে হইল । এত কষ্ট, এত পীড়ন, এত অত্যাচার সহ করিয়াও ইংরাজের হুগলী ও বঙ্গদেশের অন্তান্ত বাণিজ্যাগারগুলি রক্ষণ করিতে লাগিলেন । ইংরাজদের পরম সৌভাগ্য, যে বঙ্গের হৰ্ত্তাকর্তা বিধাতা মীরজমল সাহেব আর একটা প্রকাণ্ড ব্যাপারের মধ্যে পড়িয়া, এসব ছোটখাট ঘটনার দিকে দৃষ্টি রাখিতে পারিলেন না। কারণ, এই সময়ে কুচবিহার ও আসাম-সীমান্তে মহা বিদ্রোহ উপস্থিত হইল। মীরজুমলা সেই বিদ্রোহ দমনের জন্য, রাজধানী রাজমহল ত্যাগ করিলেন । এই যুদ্ধান্তে ভগ্নস্বাস্থ্য হইয়া, তিনি ঢাকায় ফিরিয়া আসেন এবং ঢাকাতেই তাহার দেহস্ত হয় । মীরজুমলার মৃত্যুর পর, নবাব সায়েস্তা খ। বঙ্গদেশের গবর্ণর বা শাসন কর্ভা নিযুক্ত হন। ইংরাজবণিকগণ সায়েস্তা খার আমলে, অনেকটা সুখু-স্বচ্ছন্দতা লাভ করিলেন। তাহারা পূৰ্ব্বপ্রথামত বাৎসরিক তিন সহস্র মুদ্রাই বাণিজ্য-শুস্বরূপে মোগল-সরকারে প্রদান করিতে বাধ্য রছিলেন । ইহার পর ১৬৭২ খ্ৰী: অকে, নবাব সায়েস্তা খা, ইংরাজদের পূর্ব-প্রাপ্ত বাণিজ্য স্বত্বাদির সমর্থন করিয়া, আর এক নূতন পত্র আদেশ প্রচার করেন। তাহার সারমর্শ এই—“এতদ্বারা বঙ্গ, বিহার ও উড়িষ্যার শাসন-কৰ্ত্তাদের আদেশ করা যাইতেছে, যে Bruce's Annals Vol. 1 Stewart's Bengal. P, 189.