পাতা:কলিকাতা সেকালের ও একালের.djvu/২৫৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সপ্তম অধ্যায় । ఇదిసి কা৭ে পর্য্যন্ত পৌছিয়াছে। রঘু পোদ্দার বহুদিন ধরিয়া, কোম্পানীর অধীনে ৰাজাঞ্চীর কাজ করিয়া আসিয়াছে। কাশিমবাজার কুঠার তদানীন্তন অধ্যক্ষ ভিনসেন্ট সাহেব—রঘুকে কারাবদ্ধ করেন। রঘু পোদার, কোম্পানীর নিকট rছু টাকা ধারিত, তজ্জন্তই এই অবরোধ। ভিনসেন্ট সাহেব কার্য্যোপলক্ষে কম্বলে গেলে, অনন্তরাম বলিয়া জনৈক ব্যক্তির উপর কারাবন্ধ রঘুর রক্ষার }র ন্যস্ত হয় । এই অনন্তরাম কোম্পানীর অধীনে দালালী করিত। অনন্ত মের সহিত রঘুর পূর্ব শক্রতা ছিল । সে ভিনসেন্ট সাহেবের অনুপস্থিতির যোগে, রঘুকে অত্যন্ত প্রহার করে এবং তাহাতেই রঘুর প্রাণবিয়োগ হয়। হাতে স্থানীয় অধিবাসীরা অতিশয় বিচলিত হইয় উঠে। রঘু, মোগল বাদহের প্রজা—কাজেই ব্যাপারটা মোগল-শাসনকৰ্ত্তাদের মনোযোগ আকর্ষণ Fরে। এই ব্যাপার লইয়া, সেই সময়ে একটা মহা হুলস্থূল বাধিয়া যায়। তরটা হাজার টাকা গণিয়া দিবার পর, ব্যাপারটা চাপা পড়ে। ইন্দাম মাষ্টার, প্রায় দুইপক্ষকাল ধরিয়া এ হত্যাব্যাপার সম্বন্ধে তদারক করেন। এই অনুসন্ধান ব্যাপারের সময়, কাশিমবাজারের কুঠার ইংরাজ কৰ্ম্মচারিiণ পরম্পরের বিরুদ্ধে, মাষ্টারের নিকট নানাবিধ অভিযোগ উপস্থিত করিলেন। প্রকৃত তথ্যামুসন্ধান ব্যাপার, ক্রমশঃ জটিল হইয়া দাড়াইল। মাষ্টার সাহেব বাঙ্গলার ফ্যাক্টরীতে নূতন আগন্তুক মাত্র, কাজেই এই সমস্ত অভিযোগ ব্যাপারের কোন সূক্ষ্ম মীমাংসাই হইল না । তবে মাষ্ট্যর কার্য্যক্ষেত্রে "মাষ্টারের”মত কাজ করিলেম। তিনি এই সব ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট,সমস্ত কৰ্ম্মচারীদের তিরস্কার করিয়া--তাহদের মধ্যে কৰ্ত্তব্য বিভাগ করিয়া দিলেন। তাহীদের কুত প্রত্যেক কাৰ্য্যের রিপোট, যাহাতে মান্দ্রাজের সদর ফ্যাক্টরীতে যায়, তাহারও ব্যবস্থা করিয়া দিলেন । তাহার চেষ্টাতেই মালদহে নূতন ফ্যাক্টারী বা বাণিজ্যাগার স্থাপিত হইল। মালদহের এই নবস্থাপিত ফ্যাক্টারিস্টী ইয়া বাঙ্গলায় তখন ইংরাজের ছয়টা বাণিজ্যকেন্দ্র স্থাপিত হইল। ষ্ট্রেন্থসাম মাষ্টার, বঙ্গের ইংরাজ কুঠীগুলির সম্বন্ধে নানাবিধ সুব্যবস্থা করিয়া মাজাজে প্রত্যাগমন করেন । ১৬৭৯ খৃঃঅঃ, তিনি পুনরায় বঙ্গদেশে আগমন করেন। তিনবৎসর পূৰ্ব্বেতিনি দিলার কুঠীগুলির যেরূপ অবস্থা দেখিয়া গিয়াছিলেন, এবারে আসিয়া দেখিলেন, তাহীদের যেন অনেকটা উন্নতি হইয়াছে। কিন্তু তাহা হইলেও, কৰ্ম্মগরিগণ তাহাদের স্বভাবদোষ পরিত্যাগ করিতে পারেন নাই। ভিনসেন্ট