পাতা:কলিকাতা সেকালের ও একালের.djvu/৩৩১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

একাদশ অধ্যায় । ১৭৩৭ খৃঃ অব পর্য্যস্ত, কলিকাতার নানাবিষয়ে ক্রমোন্নতি হইতেছিল। নানাস্থানে বাড়ী, ঘর, দীর্থিক, বাগান প্রভৃতি নিৰ্ম্মিত হইয়াছিল। সেই জঙ্গলময় স্বতালুটাকে গঙ্গাতীর হইতে দেখিলে, যেন একটা ক্ষুদ্র জনস্থান বলিয়া প্রতীয়মান হইত। কিন্তু ১৭৩৭ সালের বিখ্যাত ঝড়ে, এই নবপ্রতিষ্ঠিত, উন্নতিমুখ-প্রধাবিত, ক্ষুদ্র নগরীর ভয়ানক ক্ষতি হইয়াছিল। এরূপ ভয়ানক ঝড়, বঙ্গদেশে আয়ু কখনও হইয়াছিল কিনা, বোধ হয় না। একশত ছিয়াত্তর বৎসর পূৰ্ব্বে, প্রাচীন কলিকাতায় যে মহাঝড় হয়, তাহার একটা বিবরণ আমরা বহুকষ্টে সংগ্ৰহ করিয়াছি। পাঠকবর্গের কৌতুহল নিবৃত্তির জন্য তাহ এ স্থলে উদ্ধত করিলাম । এই সময়ে স্যর ফ্রান্সিস রসেল, ইষ্ট ইণ্ডিয়া কোম্পানীর কুঠির মন্ত্রণাসভার সদস্য ছিলেন। রসেলের বর্ণিত কাহিনীই, আমরা এ স্থানে অনুদিত করিয়া দিলাম। তিনি লিখিতেছেন—“এমন ভয়ানক ঝড় ও সেই মহাকটিকার রাত্রের ভ্যানক দৃত, আমি জীবনেও ভুলিতে পারিব না। মুষলধারে বৃষ্টি, মূহুমুহ বজ্ৰমাদ, ঝড়ের বিষম ঝাপট ও সৰু সন্‌ শব্দ দেখিয়া, আমি উপরতলা ইষ্টতে নীচে নামিয়া আসিলাম । আমার বিশ্বাস, যে বাড়ীতে আমি বাস করিতাম, তাহ অন্যান্য সকল বাড়ী অপেক্ষ মজবুত। কিন্তু ঝড়-ঝাপটা, ও বাতাসের দমকা ইত্যাদি দেখিয়া-আমার প্রতিমূহুর্তে ভয় হইতে লাগিল, যে বুঝি বাড়ী চাপা পড়িয়া,আমাদের জীবন্ত অবস্থায় সমাধিস্থ হইতে হইবে। মিসেস্ ওয়াসটেল নামধেয় এক ইংরাজরমণী, আমাদের বাড়ীতে পুত্রকন্যাদিসহ আশ্রয় লইয়াছিলেন। প্রাণের ভয়ে, আমি তাহাকে লইয়। নীচে নামিয়া অসিলাম । তিনি উপরে যে ঘরে ছিলেন-ত হার দরজা জানালা ও গৃহভিত্তি মহাশবো পড়িয়া গেল। এইভাবে ভয়, উদ্বেগ, অপঘাত মৃত্যুর আশঙ্কা লইয়া সমস্ত রাত্রিটা আমরা বসিয়া কাটাইলাম।” “পরদিন প্রভাতে কি ভয়ানক দৃশুই দেখিলাম! পূৰ্ব্বদিন সন্ধ্যায় ছোট বড় উনত্রিশ খানি জাহাজ, গঙ্গার উপর ছিল । অশ্চির্য্যের বিষয় এই জাহাজের মধ্যে ডিউক অব ডসেট নামক ( Duke of Dorsett) একখানি মাত্র জাহাজ, নদীবক্ষে আছে। তাহারও অবস্থা অতি শোচনীয় । পাইল ও মাস্তল ছিড়িয়া গিয়াছে। এই খানি ছাড়া, অন্য জাহাজগুলির "nsulage on all goods imported and exported by British subjects but all the nations besides are free from taxes, (Hamilton's East India Gazzetteer vol. 11. P. f8)