পাতা:কলিকাতা সেকালের ও একালের.djvu/৩৪৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩১২ কলিকাতা সেকালের ও একালের । جستح--------- এই সময়ে, মোগল-শাসনকৰ্ত্তারা ইংরাজদের সহিত নানা বিষয়ে প্রতিকুলত আরম্ভ করেন । র্তাহারা মনে মনে বুঝিতেন, যে কোন অছিলায় ইংরাজদের পীড়ন করিতে পারিলেই, দুই পয়সা আদায় হইবে । তাহার কথন স্বপ্নে ও ভাবেন নাই, যে ইংরাজ-বণিক প্রত্যেক বিষয়ে র্তাহণদের রুপভিখারি, তাঁহাদের অন্তকম্পা-প্রার্থী, তাহারা তাহীদের বিরুদ্ধে অস্ত্ৰধারণ করিতে সাহসী হইবেন । ঢাকার নবাব সায়েস্তা খ, নানা বিষয়ে ইংরাজ-বণিকগণকে উৎপীড়িত করিয়াছিলেন । তাহার একটা প্রমাণ, চার্ণকের সহিত দেশীয় বণিকদের দেন পাওনা লইয়া বিবাদ ও নবাল সায়েস্ত'-খণর মীমাংসা । এই ব্যাপারে নবাব, চার্ণক ও র্তাহার সহকারীদের ৪৩ হাজার টাকা জরিমানা করলেন। চার্ণক ইচ্ছা করিয়া এ জরিমানার টাকা না দেওয়ার ফল এই হইল, যে তিনি বাবের আদেশে কাশিমবাজারে নজর বন্দীরূপে রহিলেন । পাছে তিনি কাশিমবাজার হইতে গুপ্তভাবে পলায়ন করেন—তজ্জন্ত মোগলের ফৌজ পাহারা দিতে লাগিল । সহিষ্ণুতার একটা সীমা আছে। অত্যাচারের একটা গণ্ডী আছে। মোগল শাসক-সম্প্রদায় সে গঙী অতিক্রম করিয়াছিলেন। এদিকে বিলাতের কৰ্ত্তারাও র্তাহীদের সংকল্প পরিবর্তন করিলেন। তাহারা বুঝিলেন, মোগল সম্রাট ঔরঙ্গজেব ও নবাব সায়েস্তা থাকে কিছু শিক্ষণ দেওয়া প্রয়োজন। র্তাহীদের অন্ততঃ একথাটাও বুঝিতে দেওয়া উচিত, যে প্রয়োজন হইলে ইংরাজের আত্মরক্ষার্থে অস্ত্র ধারণ পর্য্যন্ত করিতে পারেন। বিলাতের কৰ্ত্তারা তাহদের অধীনস্থ কৰ্ম্মচারীদের এই সংকল্প কার্য্যে পরিণত করিবার জন্য, তৎকালীন ইংলণ্ডাধিপতি দ্বিতীয় জেমসের অনুমতি গ্রহণ করেন। ইহার ফলে, নিকলসনের অধীনে কামান সজ্জিত ছয়শত সেনাপূর্ণ নয়থানি যুদ্ধ-জাহাজ ভারতে প্রেরিত হইয়াছিল। বিলাতের কৰ্ত্তার নিকলসনকে আদেশ দিলেন—“মান্দ্রাজে পৌঁছিয়া তথ। হইতে আরও চারিশত সেনা লইয়া বালেশ্বরে যাইবে । তৎপরে চট্টগ্রাম বন্দর দখল করিবে । আরাকশনের রাজা মোগলের শক্র । তাহার সহিত মিত্ৰত করির চট্টগ্রাম দখল করিবে । চট্টগ্রামে সুপ্রতিষ্ঠিত হইবার পুর, ইংরাজগণ নবাবের আবাসস্থান, মোগলের রাজধানী ঢাকা অধিকার করিবেন। ঢাকা অধিকার করিলেই, মোগল বাধ্য হইয়া—সন্ধি করিবে ।”