পাতা:কলিকাতা সেকালের ও একালের.djvu/৩৬৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ত্ৰৈয়োদশ অধ্যায় । లst 哥 লাগিল। বিদ্রোহের কথা নবাবের কাণে छूशिरगई-लिनि দিতেন, “এই অন্তর্বিপ্লব ব্যাপারটা অতি ঘৃণার বিষয় । এটা গ্রাহ না করিলেই—বিদ্রোহীরা আপন! আপনিই থামিয়া যাইবে । অকারণ খোদার কৃষ্ট জীবের রক্তপাত করিয়া, তাহাদিগকে হত্য করার ফয়দা কি ?"* নবাবের এইরূপ মতিগতি দেখিয়া, ইউরোপীয়ান বণিকগণ আত্মরক্ষার জন্য প্রস্তুত হইলেন । র্তাহারা নিজেরাই নিজেদের উপায় বিধানে মনস্থ করিলেন । ইউরোপীয়-বণিকগণ, আত্মরক্ষার্থে দেশীয়-সৈন্য সংগ্ৰহ করিতে লাগিলেন । ইংরাজ, ডচ ও ওলন্দাজ প্রভৃতি বণিকগণ স্ব স্ব আশ্রয় স্থান সুদৃঢ় করিতে লাগিলেন। এদিকে বিদ্রোহিগণও হুগলীর সন্নিহিত श्झेळा । g দেশময় একটু মতা হুলস্থূল উপস্থিত হইল। বিদ্রোহ-নায়ক রহিম-সা ও শোভাসিংহের অত্যাচারে, নিরীহ শান্তিপ্রিয় প্রজঃক্ল, বাড়ী-ঘর ছাড়িয়া পলাইতে লাগিল । চারিদিকে অত্যাচার, লুণ্ঠন, নরহত্য, আৰ্ত্তের চীৎকার ও শোণিতপাতের ভীষণদৃশ্ব প্রকটিত হইল। এতদিনের পর, নবাব ইব্রাহিম খার কুম্ভকর্ণের নিদ্রা ভাঙ্গিল । তিনি বিদ্রোহী সামন্তদের দমনের জন্য যশোহরের ফৌজদার নূরউল্লা খার প্রতি আদেশ প্রদান করিলেন—“ব্যাপারটা বড়ই বাড়িয়া উঠিয়াছে। যে উপায়ে পার, বিদ্রোহীদের দমন কর।”+

  • Bnt his Highness was engaged with his books' and His Highness's Commenders intent upon making money considered the matter of little importance, while they hesitated and delayed, the rebel force increased in members, narched upon Hugly and took it. Still His Highness remained inactive. He could only repeat that civil war was a dreadful evil and that the rebels, if let alone would soon disperse. What is the use then of fighting 2 Why should he wantonly destroy the lives of God's creatures 2 Why could he not be left to read Gulistan in peace. Annals—the Rebellion of Cubhasing p. 147. )
  • রিয়াজে উল্লিখিত আছে, এই নুরউল্ল যশোহর, হুগলী, বৰ্দ্ধমান ও মেদিনীপুর, চাকলার ফৌজদার ছিলেন। তাহার অধীনে তিন হাজার সৈন্য ছিল । ওয়েজুলাও সাহেবের যশোর বিবরণীতে প্রকাশ–“১৭৯৮ থ অব্দে নূরউল্লার প্রপৌত্র হিদায়তউল্লা ও রহমতউল্লী নামক দুইজন অশীতিবয বয়স্ক দেশীয় বুদ্ধ, ইংরাজ গবর্ণমেণ্টের নিকট পেক্ষনের দাবী করিয়াছিলেন। কথিত আবেদন পত্রে, নূরউল্লা সম্রাট ওরঙ্গজেবের "দুধভাই” বলিয়া উল্লিখিত। সম্ভবতঃ নূরউল্লার মাতা, ঔরঙ্গজেবের শিশুকালের ধাত্রী ছিলেন। এই সম্বন্ধের জোরেই নূয়উল্লার ঘথেষ্ট প্রতিপত্তি ছিল । তিনি যে কেবল ফৌজদারীর কৰ্ত্ত ছিলেন ইহা নহে-বাণিজ।-ব্যবসার দ্বারাও প্রচুর ধন্যেপার্জন করিয়াছিলেন। কপোতাক্ষ নদীরতীরে তিনি মিজ্জানগরে অবস্থিতি করিতেন। এখনও তখায় তাহার প্রাসাদের ধ্বংশাবশেষ

( Wilson's Early