পাতা:কলিকাতা সেকালের ও একালের.djvu/৩৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কলিকাতার প্রাণ-প্রতিষ্ঠ । ぐ)

  1. হার প্রাণ শিহরিয়া উঠিল। নদীতীরে বাণিজ্য কার্য্যের জন্ত, কোম্পানীর কৰ্ম্মচারিগণের যে কয়েকখানি মাটীর চালা ছিল--তাহার চালের খড় উড়িয়া গয়াছে— দেয়াল ভাঙ্গিয়া পড়িয়াছে, কোন কোনটীর বঁাশ-বাখারি দরমণ প্রভৃতির চিহ্নমাত্রও নাই—কেবল ভিত্তির মাটী, বর্ষার প্রবাহ-ধৌত হইয়া ফুটরের অস্তিত্ব ঘোষণা করিতেছে।

আর র্যাহারা তাহার সহিত কুলে নামিয়াছিলেন–র্তাহারাও তাঁহার পশ্চাৎবর্তী হইলেন । আশ্রয় স্থানের অবস্থা দেখিয়া, সকলেই চমকিয়া উঠিলেন । র্তাহণদের হস্তস্থিত লণ্ঠনের আলোক। --সেই অন্ধকারময় শ্মশানবৎ নির্জন স্থানের উপর পড়িয়া, অতি ভীষণ দৃশ্বের স্বচনা করিল। অগ্রগামী ইংরাজটার বেশভূষা অন্ত সকলের অপেক্ষ অনেকটা বহুমূল্য । তিনি সেই অন্ধকারময় স্থানে কিয়ৎক্ষণ দাড়াইয়া--তারকাখচিত, মেঘ-মণ্ডিত, অন্ধকারময় আকাশের দিকে চাহিয়া কি ভাবিলেন । তার পর তাহার সঙ্গীগণকে সম্বোধন করিয়া বলিলেন-- ভাই সকল ! আমরা এই স্থত লুটতে যে আশ্রয় স্থান টুকু করিয়া গিয়াছিলাম, তাহার পরিণাম ত তোমরা সবাই দেখিতেছ। বর্ষার রাত্রে, এই জঙ্গলের মধ্যে-—তাবুতে বাসকরা বড়ই কষ্টকর হইবে । চল -- আমরা অাজকে রাত্রের মত জাহাজে ফরিয়া যাই, কাল প্রাতে আবার মাল-মসলা জোগাড় করিয়া নূতন আশ্রয় স্থান করিতে হইবে।” wo র্তাহার অধীনস্থ সকলেই--র্তাহীর মত সমর্থন করিল । সেই দীর্ঘকায় পুরুষ, ধীর গতিতে আবার জালি-বোটে উঠিলেন । এই দীর্ঘাকার ইংরাজ, আর কেহই নহেন—স্বয়ং জব চাৰ্যক-কলিকাতার প্রাণ-প্রতিষ্ঠাত । পরদিন প্রভাতে, পরিচিত বাঙ্গালীদের সহিত সাক্ষাৎ করিয়া, জব চার্ণক ইংরাজদিগের বাসের জন্য কয়েকখানি মুৎকুটার---নিৰ্ম্মাণ করাইলেন । মাত্র একখানি কোটাবাড়ী ভাড়া লইয়া মেরামত করান হইল । কোম্পনীর কুঠীর কৰ্ম্মচারীরা সেই কুটীরগুলি যত শীঘ্ৰ পারিলেন, দখল করিলেন । এইরূপে প্রায় আড়াই শত বৎসর পূৰ্ব্বে, বৰ্ত্তমান প্রাসাদ-সৌন্দৰ্য্যময়ী কলিকাতার, প্রাণ-প্রতিষ্ঠা হইয়াছিল । বৰ্ত্তমান বৎসর হইতে ২২৩ বৎসর পূৰ্ব্বে, আজকাল সেখানকে লোকে হাটখোলা" বলে, সেই অঞ্চলেই জব চাৰ্ণক কলিকাতার-প্রাণপ্রতিষ্ঠা করেন। কেহ কেহ অনুমান করেন, বেশিক্ষাটােলা ঘাটের সুমী বল্লী রথীতল: