পাতা:কলিকাতা সেকালের ও একালের.djvu/৪৫২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8> と。 কলিকাতা সেকালের ও একালের । -स्थछ লেখকদের ইতিবৃত্ত হইতে খুব কম বিবরণই পাওয়া যায়। দেশীয় ইতিবৃত্ত লেখকেরাই, এ ব্যাপারটা অধিক পরিমাণে বর্ণনা করিয়া গিয়াছেন । রাজস্ব প্রদানে অপারক হইলেই, এই সমস্ত উৎপীড়ন আরম্ভ হইত। যে সমস্ত জমীদার বা অামিল, রাজস্বপ্রদানে ক্রটি করিতেন—ৰ্তাহারাই কারাগারে অর্ণবদ্ধ হইয়া নানাবিধ যন্ত্রণাভোগ করিতেন । পীড়ন দ্বারা টাকা আদায় করাই অবরোধের প্রধান উদ্দেশ্য—কাজেই পীড়নের মাত্রা কিছু বেশী পরিমাণেই হইত। কিন্তু যখন আমরা ভাবি, বাঙ্গলার অতীত-যুগের জমাদারগণ দরিদ্র প্রজাগণকে পীড়নের জন্য “চুণের-ঘর” “ঠাণ্ডাগারদ” ইত্যাদির ব্যবস্থা করিতে পারেন—আর সামান্য বিশ পচিশ টাকা পাওনা আদায়ের জন্য, এখনও কঠোরভাবে প্রজা-পীড়ন হয়, তখন মুরশীদ-কুলী খার মত জবরদস্ত নবাব—যিনি তিন চার মুলুকের মালিক, তাহার আমলে যে এরূপ একটা কঠোর প্রথা বা অত্যাচার হয় নাই—তাহা বিশ্বাসযোগ্য নহে । অনেকে এই সব জমীদার-পীড়নের কলঙ্ক, নাজির আহম্মদ ও সৈয়দ রেজা খণর উপর অর্পণ করিয়া থাকেন । নাজির আহম্মদ প্রথমে একজন সামান্য কৰ্ম্মচারী ছিল । পরিশেযে নবাবের অনুগ্রহ বলে, সে দুই হাজার অশ্বারোহী ও চারি হাজার পদাতিক সেনার অধিনায়ক হয়। কাজেই দৰ্পে ও পদগৌরবে, সে জগৎকে “তৃণবংমন্যতে" গোছ করিয়া তুলিল। যে সকল জমাদার, খাজনা বাকী ফেলিতেন—ব নিৰ্দ্দিষ্ট দিনে রাজস্ব প্রদান করিতে অপারক হইতেন, তাহাদিগকে ধরিয়া আনিবার ভার নাজিরের উপর পড়িত। নাজির তাহাদিগকে ধৃত করিয়া কখনও বা তেকটায় প। বাধিয়া ঝুলাইয়া রাখিত, কখনও বা কোড়া-প্রহারে জর্জরিত করিয়া তুলিত। তদ্ভিন্ন গ্রীষ্মকালে রৌদ্রে দাড় করাইয়া রাখা ও শীতকালে খোলাগায়ে ঠাণ্ডাজল ঢালিয়৷ দেওয়া ইত্যাদি কষ্টদায়ক ব্যবস্থাও ছিল । তাহার পর ঐ সমস্ত জমাদার কারাগারে প্রেরিত হইতেন। নবাবের কারাগারে অtহার্য্যাদির ব্যবস্থা অতি শোচনীয় ! কেবল জীবনরক্ষার জন্য র্তাহারা যৎসামান্য খাদ্যাদি পাইতেন। আবার তাহার সঙ্গে হিন্দুর অভক্ষ্য দ্রব্যও মিশ্রিত থাকিত । 事 এইবার রেজা খণর ব্যবহারের কথা বলি 4 : তিনি একটা খাদ খনন করাইয়া, তাহ নানাবিধ দুৰ্গন্ধময় আবর্জন দ্বারা পূর্ণ করিয়াছিলেন এবং হিন্দুদিগের মৰ্ম্মে আঘাত করিবার জন্য, সেই থনিত থাদটীকে “বৈকুণ্ঠ” আখ্যা ಗ್ಯ করেন । যে সমস্ত জমাদার কঠোর শাস্তি ভোগ করিয়াও রাজৰ