পাতা:কলিকাতা সেকালের ও একালের.djvu/৪৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

$R কলিকাতা সেকালের ও একালের । অবিশ্রাস্ত কর্দমরাশি সহ, নূড়ী-প্রস্তর আনিয়া ঢালিতে ঢালিতে, বহু সহস্ৰ বৎসরের চেষ্টায়, হিমালয়কে বর্তমান স্থানে রাখিয়া আসিয়াছে। কয়েক বৎসর পূৰ্ব্বে, ভূতত্ত্ববিৎ-পণ্ডিতগণ কলিকাতার মধ্যবর্তী ভূমি গভীর ভাবে খনন করিয়া, ইহার প্রাচীন অবস্থার অনেক প্রমাণ পাইয়াছেন। এই সমস্ত খনিত স্থানে বসবাসের চিহ্নস্বরূপ, দগ্ধ মৃত্তিকা—বা ধাতু-দ্রব্যের চিহ্ন পাওয়া গিয়াছিল। অনেক স্থলে, কেবল উদ্ভিজ্জ সার ও নদীর বালুক স্তরই দেখা দিয়াছিল। লালদিঘি, গোলদিঘি, মনোহর-তালাও প্রভৃতি পুষ্করিণী খনন কালে, এরূপ অনেক চিহ্ন পাওয়া গিয়াছে। কলিকাতার গড়ের মাঠের মধ্যে, ১৮১৫ খ্ৰী:অন্ধের এপ্রিল মাসে একটা পুষ্করিণী খনন করান হয়। উক্ত বৎসরের মে মাসেই, “কলিকাতা গেজেটে” ইহার রিপোট বাহির হইয়াছিল। উক্ত রিপোট হইতে জানা যায়, চৌরঙ্গীর কোণে দীঘির নিয়ে বালুক জমায়, গ্রীষ্মকালে পুষ্করিণীটা শুখাইয়া যায়। সেই জম্ব উহাকে একটু বেশী গভীর করিয়া খনন করান হয়। খনন-কালে চারি ফিট নিয়ে, সারি সারি পুরাতন বৃক্ষের মূল পাওয়া গিয়াছে। উদ্ভিদতত্ত্ববিৎ পণ্ডিতগণ, সে মূল গুলি স্বন্দরী-বৃক্ষের বলিয়া সিদ্ধান্ত করিয়াছিলেন। ইহার পর, আরও কয়েকটা স্থানে পুষ্করিণী খনন কালে, ঐ প্রকার চিহ্ন দেখা যায়। সরকারী রিপোর্ট হইতে আমরা তাহার বিবরণ সংগ্ৰহ করি দিলাম।

  • (১) শিয়ালদহ ষ্টেশনের দক্ষিণে—যে পুষ্করিণী আছে, তাহা খননকালে প্রথম স্তরের একফুট মৃত্তিকার নিয়ে, তিন ফিট্‌—পরিষ্কার নদীর বালুক, তৎপরে কোন কোন স্থানে ছয় ফিটু, আবার কোথাও বা আটু ফিটু সুশ্ন বালুকাসহ, উদ্ভিদ সার ও বিহুক পাওয়া গিয়াছে।. তৎপরে পরীক্ষার জন্য আরও গভীর করিয়া খনন করিলে--এক প্রকার কৃষ্ণবর্ণের আটাল মৃত্তিক পাওয়া গিয়াছিল। ঐ স্মৃত্তিক অগ্নিতে নিক্ষেপ করিবামাত্রই, ছাই হইয়া যায়। ভূতত্ত্ববিৎ-পণ্ডিতদের মতে, ইহা “পিট-কোল” বলিয়া নিৰ্দ্ধারিত হইয়াছিল। ঐ পুষ্করিণীটা আরও গভীর করিয়া খনন করায়, সারি সারি সুন্দরী বুক্ষের গুড়ি সকল পাওয়া যায় ।

(২) এই সময়ে কলিকাতার বর্তমান কেরার মধ্যে, একটা কুপ খনন করান-হয়। তাহাতেও শিয়ালদহের পুষ্করিণীর ন্যায়, মাট ও বালী পাওয়া যায়। শেষ ১৫৯ ফিট খনন করিবার পর-হরিদ্রাবণ, সূত্র-চিহ্ন-বিশিষ্ট আঁটাল মট'পাওয়া যায়। ১৮০ ফিটু নিষ্ঠু, পিট্‌কোলের সহিত ছাচিকুমড়ার