পাতা:কলিকাতা সেকালের ও একালের.djvu/৪৬৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পঞ্চদশ অধ্যায় । 8Հ:Տ সম্বন্ধে তাহদেয় দৃষ্ট রাখিতে হইবে, সরকারের প্রাপ্য রাজকর যথাসময়ে দাখিল করিতে হইবে। এই সমস্ত সনন্দে যাহাতে প্রজাদের উপর অপরে কোনরূপ অত্যাচার না করে, প্রত্যেক জমিদারের দখলী জমিদারীর মধ্যে পথঘাটের উন্নতি হয়, এরূপ ব্যবস্থাও থাকিত । জমিদারের এই সনন্দ-প্রাপ্তির সময়ে সরকারের নিকট এই সমস্ত স্বত্ব পালন করিবার জন্য মুচলেখা লিথিয় দিতেন । রাজার হস্তে জমিদারীর স্বত্ব উৎখাত করিবার ক্ষমতা থাকিলেও, অনেক স্থলে উত্তরাধিকার সুত্রের ব্যতিক্রম করা হইত না । জমিদার ষদি বিদ্রোহী হইতেন বা রাজস্বদানে অপারক হইতেন, তাহা হইলেই তাহার জমিদারী কড়িয়া লইয়া অপরকে দেওয়া হইত। সেকালে জমিদারের জমিদারী-দান ও বিক্রয়ের স্বত্বের অধিকারী ছিলেন। তবে,এরূপ বিক্রয় বা হস্তান্তর করিবার সময়, সুবেদারের সম্মতি লইতে হইত। নবাবী-আমলে প্রজার জমির উপর কিরূপ স্বত্ব ছিল, এক্ষণে তাহারই আলোচন করা যাউক । নবাবী-অমিলে, থোদকস্ত ও পাইকস্ত বলিয়া দুইট প্রধান শ্রেণীর রাইয়ুৎ ছিল। থোদকস্তগণ স্থায়ী রাইয়ৎ । ইহার পুরুষানুক্রমে পৈতৃক-ভিটায় বাস করিত ও জমা লওয়া জমীতে পুরুষানুক্রমে চাষ করিত। পাইকস্তের ভিন্ন গ্রামবাসী রাইয়ৎ । ইহাদের জমীর উপর কায়েমী-স্বত্ব ছিল না । তবে তাহার। স্কুমী জমা করিয়া লইয়া চাষ-আবাদ করিত । ইহাদের অধীন থাকিয়া যাহার চাষ ও অাবাদ করিত তাহারা কোরক্ষণ প্রজা বলিয়া উল্লিথিত হইত। প্রজারা যাহাতে তাহাদের জমা-জমীর চাষ আবাদ কার্য্যে মনোযোগী হয়, তৎসম্বন্ধে ঔরঙ্গজেব বাদসাহের খুব কড়া হুকুম ছিল । ঔরঙ্গজেব প্রদত্ত ১৬৬৮ খ্ৰীষ্টাব্দের এক পরোয়ানা হইতে দেখা যায়, বাদসহ রাজস্ব আদায়কারী তহশীলদারদিগকে আদেশ করিতেছেন—“তাহারণ বৎসরের প্রারম্ভে কৃষকগণের অবস্থা যথাসাধ্য জ্ঞাত হইবে । প্রজারা রীতিমত চাষ জীবাদ করিতেছে কি অবহেলা করিতেছে, তৎপ্রতি মুতীক্ষ দৃষ্টি রাখিবে । পরিশ্রমী কৃষকদিগের প্রতি সদয় ব্যবহার করিবে । কিন্তু যাহার উপায় স্বত্বেও আবাদে অবহেলা করিতেছে, তাহাদিগকে ভৎসনা করিবে, ভয় দেখাইকে বল প্রয়োগ করিবে ও বেত মারিবে। “ডাক্তার হন্টার বনে—জমীদার ও আমিলগণ এবং ইজারাদারগণ স্থায়ী প্রভাকে বাধা করিয়া জমী আবাদ করাইতে সক্ষম ছিলেন। প্রজাগণকে বলপূর্বক ধরিয়া আনা, বন্দীভাৰে