পাতা:কলিকাতা সেকালের ও একালের.djvu/৫২৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সপ্তদশ অধ্যায়। 8sరి ঘড়ির দোকান হইতে আরম্ভ হইয়া, করেন্সি আপিলের সন্মুখ দিয়া, বরাবর এসপ্লানেডের বা ধৰ্ম্মতলার দিকে গিয়াছে—তাহার যে অংশ, লালদিঘীর পার্শ্ববৰ্ত্তী ছিল, তাহা তৃণশম্পাবৃত ভূমি মাত্র। এই তৃণ-ক্ষেত্র বর্তমান মিশন । রো, পৰ্য্যন্ত বিস্তুত ছিল। এই মিশন রো, সেই সময়ে Rope walk ( রোপ ওয়াক ) নামে পরিচিত ছিল। আর একটা পথ বর্তমান করেলি আপিসের সন্মুখ হইতে, টেলিগ্রাফ-আপিসের সন্মুখ দিয়া, কয়লাঘাটের দিকে চলিয়া গিয়াছিল। এই রাস্তার শেষাংশে অর্থাৎ কয়লাঘাট রাস্তার পার্শ্বে দুর্গের সীমানার মধ্যেই কোম্পানীর মালগুদাম ও বারুদের ভাণ্ডার প্রভৃতি ছিল । ইহার অপর পার্শ্বে গোরস্থান ও শূন্যভূমি। এই গোরস্থানই এখন সেন্ট জন গিজ্জর্ণর অধিকৃত স্থান। লালদীঘির বা পার্কের উত্তরে অর্থাৎ বৰ্ত্তমান বেঙ্গল-সেক্রেটারিয়েট অফিসের যে স্থানে লাটদিগের মন্ত্রণা-সভার অনুষ্ঠান হইত, সেই স্থানেই কলিকাতার সর্বপ্রথম গির্জা সেন্ট এন্‌ (St. Anne) স্থাপিত ছিল। এখন সে গির্জুর চিহ্ন পৰ্য্যস্ত নাই । ১৭৮৯ খৃঃ অব্দে এই গির্জার নির্মাণ-কাৰ্য্য শেষ হয়। রাইটাস-বিল্ডিংএর ঠিক সম্মুখ দিয়া ষে রাস্ত আজকাল লালবাজার, বৌবাজার প্রভৃতি স্থানে গিয়jছে—তাহ, বৰ্ত্তমান লালবাজারের মোড়ের নিকট আর একটী ক্ষুদ্র পথের সহিত মিলিত হইয়াছিল। এই পথ, জঙ্গলের মধ্য দিয়া দক্ষিণ-বাহি হইয়া কালীঘাট পৰ্য্যস্ত গিয়াছিল। এখন ইহা বেটিঙ্ক-ট্রীট, কসাইটোলা প্রভৃতি নামে পরিচিত। এই ক্ষুদ্র বনপুখ, ধরিয়া সেকালের কালীঘাট-তীর্থযাত্রীরা, চৌরঙ্গীর জঙ্গল মধ্যবর্তী এক ক্ষুত্র যাত্রী পথে আসিয়া পড়িতেন। লালবাজারের পাশ্ববর্তী স্থানসমূহ, অনেক এ দেশীয় নামজাদা বড়লোকের বাগানবাটীরূপে পরিণত হইয়াছিল। ইতিহাসপ্রসিদ্ধ অমিটাদের বাগান, লালবাজারের অতি নিকটেই ছিল। কোম্পানীর গবর্ণর সাহেষ, পুরাতন কেল্লার মধ্যেই থাকিতেন। তাহার আবাসস্থানটী কেল্লার মধ্যে বিশেষ শোভাসম্পদময় ছিল। দুর্গের মধ্যে, অনেক ফ্যাক্টার ও রাইটারগণ বাস করিতেন। কোম্পানীর রাইটার ও ফ্যাকটারদিগকে, বড়ই কড়াকড়ি ব্যবস্থার মধ্যে রাখা হইত। র্তাহদের মধ্যে যাহারা বিবাহিত, তাছারাই কেবল দুর্গের বাহিরে বাস করিতে পারিতেন। অবিবাহিত কৰ্ম্মচারিগণকে স্বর্গের মধ্যে থাকিতে হইত। কোম্পানীর কলিকাতার দুর্গে, তখন দুইশত হইতে তিনশত বিলাতী ও দেশীয় সেনা মার্কিত। ইহার কোম্পানীর মালামাল চৌকী দেওয়া কার্ধ্যেই