পাতা:কলিকাতা সেকালের ও একালের.djvu/৬২৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

উনবিংশ অধ্যায়। ծե-Գ বাস করিতেন। আজকাল যেস্থান অধিকার করিয়া টাউনহল বর্তমান, সেই স্থানের একটা বাটতে সুপ্রীমকোর্টের অন্যতম জজ, হাইড সাহেব বাস করিতেন। হাইডের সহযোগী জজ লিমেষ্টার, বৰ্ত্তমান ফ্রি-স্কুল ট্রীটের সন্নিকটস্থ একটী বাটীতে থাকিতেন । উপরে আমরা যে সমস্ত জজের নাম করিয়াছি, তাহদের সকলেই মহারাজ, নন্দকুমারের মোকদ্দামায় বিচারকরূপে বসিয়াছিলেন । এইবার প্রাচীন কলিকাতার চাকর-বকিরদের সম্বন্ধে আমরা দুই চারিটি কথা বলিব । সেকালে সাহেবদের অনেক রকমের চাকর ছিল। এখন আর তাহীদের কতকগুলির নাম বড় একটা শোনা যায় না । ১৭৫৯ খ্ৰীঃ অব্দের, ২১শে তারিখে, জমীদ্বারদের মন্ত্রণা-সভার অধিবেশনে কলিকাতাবাসী ইংরাজদের ভৃত্যবর্গ সম্বন্ধে নানা কথা আলোচিত হয়। এই সভায় জমীদার হলওয়েল, ফ্রাঙ্কল্যাণ্ড ও রিচার্ড ৰিচণর উপস্থিত ছিলেন । “কলিকাতাবাসী ইংরাজদের ভূত্যবর্গ উদ্ধত হইয়াছে— অতিরিক্ত হারে বেতনের দাবী করিতেছে” এই সব বিষয়ের আলোচনা এই সভায় হয় । এই আলোচনার পরিণামে চাকরদের বেতনের হার নিৰ্দ্ধারিত হইয়া যায়। ইহাতে আরও স্থির হয়—তৃত্যদিগের বেতন সম্বন্ধে, যে দর স্থির করিয়া দেওয়া হইল—তাহারা যদি তাহাতে চাকরী করিতে স্বীকৃত না হয়, তাহা হইলে তাহাদিগকে অপরাধীরূপে জমীদার সাহেবের নিকট হাজির করা হইবে । তাহীদের এরূপ অবাধ্যতার জন্ত জমীদারের বিচারে জরিমানা, বাসোচ্ছেদ, কারাদণ্ড বা দৈহিক শাস্তিবিধান পৰ্য্যস্ত হইতে পারে। যদি কোন ভূত্য একমাস পূৰ্ব্বে নোটিস না দিয়া তাহার প্রভুর চাকরী ছাড়িয়া চলিয়া যায়, তাহা হইলে জমীদার-সাহেবের বিচারে, তাহার পূৰ্ব্বোক্তরূপ শাস্তি হইতে পারে। যদি কোন স্থলে, প্ৰভু ভূত্যের সহিত অসদ্ব্যবহার করেন বা তাহার উপর অন্যায় অত্যাচার করেন, তাহা হইলে সেই ভৃত্য জমীদারগণের আদালতে, প্রভুর নামে প্রকাশ্যভাবে নালিশ করিতে পরিবে। পাঠক ! পরপৃষ্ঠায় সেকালের চাকরবাকরের শ্রেণী বিভাগ ও তাহীদের মাসিক বেতনের ফর্দ দেখুন। সেকালে জিনিষ পত্র সস্ত ছিল, কাজেই চাকরবাকরদিগের মাসিক তলবানাও সেই অমুপাতে কম ছিল । তবুও এই সমস্ত ভৃত্যবর্গ মধ্যে মধ্যে চাকরি ছাড়িয়া পলাইত বলিয়া, সাহেব মহলে সদা সৰ্ব্বদা; গণ্ডগোল ঘটিত ।