পাতা:কলিকাতা সেকালের ও একালের.djvu/৬৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

छूठौघ्न অধ্যায়। ३१ রামচন্দ্র দরিদ্রের সস্তাম। চাকরী-বাকরী না করিলে আর দিন চলে না। দেখিয়া, ভাগ্য-পরিবর্তন জঙ্ক, তিনি সপ্তগ্রামে আগমন করেন। রামচন্দ্র সাহসী, কাৰ্যক্ষম, পরিশ্রম-সহিষ্ণু ছিলেন। ঐকান্ত ৰোষ নামক তাহারু স্বদেশীয় একজন লোক, সেই সময়ে সপ্তগ্রামে বাস করিতেন । রামচন্দ্র জনন্তোপায় হইয়া, এই কাস্তের আশ্রয় গ্রহণ করেন। সপ্তগ্রামের অবস্থা তখন বড়ই উন্নত। সপ্তগ্রাম—সে সময়ে একটা প্রধান নগর ও বন্দর। এই সপ্তগ্রামের পাশ্ববাহিনী সরস্বতী নদী, তখন এরূপ বিশীর্ণকায় ছিলেন না । সপ্তগ্রাম তখন মোগল-সরকারের একটা প্রধান সরকার বা বিভাগ ছিল । সরস্বতীর-প্রচণ্ড তরঙ্গময়ী সলিল-রাশির উপর মৃত্যু করিতে করিতে, শত শত বাণিজ্য-পোত সপ্তগ্রাম বন্দরে গিয়া নজর করিত। এক কথার সপ্তগ্রাম সেই সময়ে ধনধান্ত-পূর্ণ, সৌধ সম্পদময়ী জনপূর্ণ রাজধানী ছিল । মোগল ও পাঠান স্ববাদারেরা এই স্থানে বাস করিতেন। পটুগীজ প্রভৃতি ইউরোপীয় বণিকদের, সুবৃহৎ অর্ণব-পোতসমূহ, এই সপ্তগ্রামের বন্দর হইতে নানাবিধ দ্ৰব্য-সম্ভার লইয়া, ইউরোপের নানা দেশের বন্দরে বিক্রয় করিত। রামচন্দ্র, শ্ৰীকান্তঘোষের আশ্রয়ে থাকিয়া, চাকুরীর দ্বারা নিজের অবস্থার একটু উন্নতি করিলেন। শ্ৰীকান্তও—রামচন্দ্রকে সাহসী, বুদ্ধিমান শু সক্ষরিত্র দেখিয়া, তাহার জামাত-পদে বরণ করেন। রামচন্দ্র, সপ্তগ্রাম সরকারে কানুনগোর দপ্তরে মুহুরীর কাজ করিতেন। তখন এ সমস্ত কাঙ্গে বেশ দু’পয়সা সংস্থান হইত। - ইহার পর রামচন্দ্রের ভবানন্দ বলিয়া এক পুত্র জন্মে। ভরা: ননের পর শিৰুনন্দ ও গুণানন্দ বলিয়া আর দুই পুত্র হয়। সপ্তগ্রামে এই সময়ে রামচন্দ্রের ভাগ্যলক্ষ্মী বড়ই চঞ্চল হইলেন। পুরাতন শাসনকর্মর সহিত রামচন্দ্রের বেশ সম্ভাব ছিল । কিন্তু তাহার পরে, যিনি সুবেদারহুইয়া আসিলেন, তাহার সহিত রামচন্দ্রের অাদে বনিৰনাও হইল না। রামচন্দ্র উপায়ান্তর না দেখিয়া, বঙ্গের তদানীন্তন রাজধানী গৌড় নগরীতে ভাগ্যপরীক্ষার্থে আগমন করেন । , গৌড়ে, তখন সের-সাহের বংশধরগণের হস্ত হইতে রাজদও স্বলিত-প্রায় । সুলেমান কররানী ১৫৬৪ খ্ৰীঃ অবে গৌড়ের সিংহাসনে অধিষ্ঠিত হইয়াছেন। - স্বলেমান মুচতুর, সাহসী, স্থায়নিষ্ঠু রাজা ছিলেন। তিনি গুণের মৰ্যাদা জানিতেন, জ্ঞানীর সমাদর করিতেন। তাহার স্বামস্ট্রে, সমগ্র বঙ্গদেশ