পাতা:কলিকাতা সেকালের ও একালের.djvu/৬৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

©थभ अक्षांभ्र! HI ভবানন্দ মনে মনে স্থির করিলেন—“গৌড় ছাড়িয়া, এমন এক স্থানে বাস-স্থান নিৰ্ম্মাণ করিতে হইবে—যেখানে শক্রগণ হইতে আমাদের কোন আশঙ্কাই থাকিবে না।" ভ্রাতৃগণ সকলেই একমত হইলে, ভবানন্দ গুপ্তভাবে—এই প্রকার আশ্রয়স্থান সন্ধানের জন্ত, কয়েকজন, বিশ্বাসী লোককে নানাদিকে প্রেরণ করিলেন। স্থান-নিৰ্ব্বাচনের জন্য ভবানন্দ যাহাদের দূরতর স্থানে—প্রেরণ করিয়াছিলেন, একমাস পরে তাহাদের সকলেই ফিরিয়া আসিয়া, পরিদৃষ্ট স্থানসমূহের বিবরণ র্তাহার কর্ণ-গোচর করিল। যে ব্যক্তি দক্ষিণ প্রদেশ হইতে ফিরিয়া আসিয়াছিল—তাহার বর্ণিত স্থানটাই, ভবানন্দের বিশেষ মনোনীত হইল। সে স্থানের নাম যশোর। পূৰ্ব্বে এ স্থান, চাদ—খ মুসন্দরী নামক এক মুসলমান জাইগীরদারের জমীদারী ছিল। কিন্তু তিনি ফেীত হওয়ায়, আর কোন উত্তরাধিকারী না থাকায়, তাহা তখন রাজসরকারের অধীন। ভবানন্দ—বঙ্গেশ্বর দায়ুদের নিকট প্রার্থনা করিয়া, যশোরের জমীদারীটি নিজের আয়ত্বাধীন করিয়া লইলেন । - এই নব-নিৰ্ব্বাচিত স্থানে, জঙ্গল কাটিয়া নগর বসাইতে হইবে। যশোর ও তাহার পার্শ্ববর্তী স্থান সমূহ, ভীষণ জঙ্গলে পূর্ণ। চারিদিকেই হিংস্ৰ-শ্বাপদগণের বিচরণক্ষেত্র , নদীর মধ্যে হাঙ্গর ও কুম্ভীর যথেষ্ট। এই জঙ্গল কাটাইয়া, ভবানন্দ প্রচুর অর্থব্যয়ে, যশোর-নগরীর প্রাণ-প্রতিষ্ঠা করিলেন। শতাধিক বৎসর পুৰ্ব্বে রচিত, স্বৰ্গীয় রাম-রাম বসুর প্রতাপাদিত্য চরিতে এই জঙ্গল কাটাইবার একটী বর্ণনা আছে । তাহা আমরা এস্থানে অবিকল উদ্ধত করিলাম। -- "সেস্থানে লোক পাঠাইয় (ভবানন্দ ) দরবন্ত জঙ্গলসমূহ কাটাইলেন। নদী-নালার নিকট স্থানে স্থানে পুলবন্দী করাইয়া, রাস্তার নমুদ্ৰ করিলেন। পাচ ছয় ক্রোশ দীর্ঘ-প্রস্থ, এমন দিব্য স্থান তৈয়ার হইল । তাহার মধ্যস্থলে চারিদিকে ক্রোশাধিক আয়তন গড় কাটাইয়া, পুরীর আরম্ভ হইল। সদর মফঃস্বল ক্রমে, তিন চারি বেহনে এমারত সমস্ত তৈয়ার হইয়া, দিব্য ব্যব:" স্থিত পুরী প্রস্তুত হইল। চতুঃপার্থে গোলা, গঞ্জ, সহর, বাজার, নগর, চাতরা ও বাগ-বাগিচা । এই মতে সেই স্থান অতি শোভান্বিত। দুই তিন বৎসরে স্থান তৈার হইল।” • ভবানন্দ গৌড়ের, রাজসরকারে চাকী, 4 o'

  • প্রতাপাদিত্য চরিত। ২১ খৃঃ। ।