পাতা:কলিকাতা সেকালের ও একালের.djvu/৬৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

లిపి কলিকতা সেকালের ও একালের । করিয়া প্রচুর ধনসঞ্চয় করিয়াছিলেন। তিনি তাহার সম্পত্তি-রক্ষার জন্ত যশোরের প্রাণ-প্রতিষ্ঠা করিয়া তথায় রছিলেন। শিবানন, বিক্রমাদিত্য ও বসন্তরায়, গৌড়-নগরে রাজদরবারে চাকরী করিতে লাগিলেন। মোগল-পাঠানে অবশেষে যুদ্ধ বাধিল । যুদ্ধ বাধাইবার মূল—স্বয়ং বঙ্গেশ্বর দাযুদ্ধ। অমিত বলদপিত হইয়া, তিনি মোগল-রাজ্যের সীমান্ত প্রদেশ আক্রমণ করিলেন। এই সংবাদ, আকবর-সাহের কর্ণে পৌছিল। তিনি জৌনপুরের শাসনকৰ্ত্ত—মুনাইম থাকে, প্রচুর সৈন্য সমেত, দাযুদের দমনার্থে প্রেরণ করিলেন । বঙ্গেশ্বর দায়ুদের সহিত, মুনাইম-খণর যুদ্ধের বিস্তারিত বিবরণ প্রদান করা এস্থলে সম্ভবপর নহে। তবে— -খণ হাজিপুর ও পাটনার যুদ্ধ-ক্ষেত্রে, দায়ুদের পাঠান-সেনা এবং তাহার সেনাপতিগণকে সম্পূর্ণরূপে বিধ্বস্ত করিয়াছিলেন। এই যুদ্ধে যে সমস্ত পাঠান নিহত হইয়াছিল, তাহাদের ছিন্নমস্তক, কয়েকখানি স্ববৃহৎ নৌকা পরিপূর্ণ করিয়া, মুনাইমর্থ। দায়ুদের নিকট পাঠাইয়া দিলেন। ব্যাপার দেখিয়া দায়ুদ বুঝিলেন—মোগলের সহিত ইচ্ছা করিয়া বিবাদ বাধাইয়া, তিনি সুবিবেচনার কাজ করেন নাই । মোগলসৈন্ত, ধীর-পদে গৌড়ের দিকে অগ্রসর হইতেছে—শুনিয়া, তিনি উড়িষ্যায় পলায়ন করিলেন । কালাপাহাড় প্রভৃতি তাহার প্রসিদ্ধ সেনাপতির, কুচবিহারের দিকে পলাইল।" গৌড়ত্যাগ করিয়া পলাইবার পূৰ্ব্বে—বঙ্গেশ্বর দাযুদ–বিক্রমাদিত্য ও বসন্তরায়কে সম্বোধন করিয়া বলিলেন—“বাল্যাবধি আমরা বন্ধুত্ব-স্বত্রে আবদ্ধ। আমি তোমাদের দুইজনকে প্রকৃত মিত্র বলিয়া ভাবি । যদি কখনও আবার গৌড়ের সিংহাসন উদ্ধার করিতে পারি, রাজ্য ফিরিয়া পাই, তাহা হইলে তোমাদের স্মরণ করিব। আমার যাহা কিছু বহু মূল্য ধনরত্নাদি গৌড়ে আছে, তাহ তোমরা লইয়া যাও। তদ্ভিন্ন সেগুলি রক্ষার আর কোন উপায়ই দেখিতে পাইতেছি না।” ইহার পর সহস্ৰাধিক বৃহৎ নৌকায় বোঝাই হইয়া গৌড়েশ্বরের সমস্ত সম্পত্তি, যশোরের রাজ-ভাণ্ডারে গিয়া পৌঁছিল। মুনাইম-খণও সহজে ছাড়িবার পাত্র নহেন। তিনি উড়িষ্যা পর্যন্ত ধাবিত হইয়া, দায়ু সৈন্তকে আক্রমণ করেন। দারুদ নিরুপায় হইয়া অগত্য সন্ধি-প্রার্থনা করিলে—মুনাইম-খ। তাহাতে সন্মতি প্রদান করেন। বঙ্গদেশে, বহুদিন অবস্থান করায় ও ক্রমাগতঃ যুদ্ধ-কার্য্যের কঠোর পরিশ্রমে, মুনাইমখার স্বাস্থ্য:ভাঙ্গিল । তিনি বাঙ্গলার কোমল মৃত্তিকার মধ্যে