পাতা:কলিকাতা সেকালের ও একালের.djvu/৬৮৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

একবিংশ অধ্যায় । శిథిల কাৰ্য্য আরম্ভ করিবে।” এই আদেশ হইতে জানিতে পারা যায়—জুন হইতে সেপ্টেম্বর পর্য্যস্ত, এই চরিমাস ডাক-বিভাগের কার্য্য বন্ধ থাকিত । শিমুলিয়ায় খুন। শিমুলিয়ার-হরিনারায়ণ শেঠ নামক এক ব্যক্তিকে, কোন ছুবৃৰ্ত্ত অতি নিষ্ঠুর ভাবে খুন করিয়া গিয়াছে। দত্তরাম নাপিত বলিয়া একজনের উপর সন্দেহ হওয়ায়, সকেন্সিল গবৰ্ণর-জেনারেল আদেশ করিতেছেন— “যে ব্যক্তি উক্ত দভরামকে ধরিয়া, সহরের বা মফঃস্বলের কোন অণদালতে হাজির করিয়া দিতে পরিবে বা তাহার গতিবিধি সম্বন্ধে পুলিশ-অফিসে সংবাদ দিতে পরিবে, তাহাকে সকৌন্সিল গবর্নর-জেনারেল সাহেব, দুইশত সিক্কা টাকা পুরষ্কার প্রদান করিবেন।” (28-9-1784) গেজেটের মধ্যে নাম আছে—“সিমুলশা” । সম্ভবতঃ এটী বানানের ভ্রম-প্রমাদ । সেকালে সহরের মধ্যে বা আশে পাশে, শিমুলিয়া ব্যতীত শিমুলশা নামের কোন স্থান ছিল না। এই সরকারী বিজ্ঞাপন হইতে জানিতে পারা যায়—সেকালের খুনের পুরস্কার ঘোষণা, পুলিশ হইতে না হইয়া, গবর্ণর-জেনারেল সাহেবের দপ্তর হইতেই হইত। দরোয়ান-খুন। গত রাত্রের প্রভাতে, মাটিন সাহেবের দরোয়ানকে কে অতি নৃশংসা ভাবে খুন করিয়া গিয়াছে। সাহেবের বেহারীরা, কাজকৰ্ম্ম সারিয়া প্রথম প্রহরের পর, সাহেবের কুঠী ত্যাগ করে । এই সময়ে দরোয়ান, তাহদের দ্বার খুলিয়া দিয়াছিল। সাহেবের সর্দার-বেহার, সাহেবের নিকট দ্বিতলেই ছিল। কিয়ৎক্ষণ পরে কোন প্রয়োজনে সহসা নীচে অসিায়, সর্দার-বেহীরা দেখিতে পায়, মেজের উপর রক্তের চিহ্ন রহিয়াছে। আর দরোয়ানের ঘর হইতেই সেই রক্ত, স্রোত বাহির হইতেছে। এই ব্যাপার দেখিয়া ভয় পাইয়া, সে খিদমতগার ও হকাবরদারকে জাগাইয়া, এই ব্যাপারের অনুসন্ধান করিতে গিয়া দেখে, যে দরোয়ানের গলা সম্পূর্ণরূপে কাটা। আর তাহী হইতেই এই রক্তধারা বাহির হইতেছে। আশ্চর্য্যের বিষয় এই, দরোয়ান যে গৃহে থাকিত, তাহার ঠিক উপরের ঘরেই মার্টিন সাহেব ছিলেন। তিনিও কোন রূপ ধস্তাধস্তির আওয়াজ গুনেন নাই। দরোয়ান যে আত্মহত্যা করিয়াছে, তাহারও কোন প্রমাণ পাওয়া যায় নাই। অথচ অন্ত কোনও ব্যক্তির উপর এই হত্যাকাণ্ডের জন্য কোনরূপ সন্দেহও হইতেছে না। ‘8-4-1784)