পাতা:কলিকাতা সেকালের ও একালের.djvu/৭০৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দ্বা বংশ অধ্যায় । ৬৩ি কন্ন অপরাহ। সেলবী সাহেব উপস্থিত ভদ্রমহোদয়দের জন্য খান ও টিফিনের বন্দোবস্ত করিবেল-”- - বাগবাজার চিত্রেশরীর মন্দিরে নরবলি। গত ৬ই এপ্রিল তারিখে, অমাবস্তার দিন শনিবারে, চিৎপুরের কালীমন্দিরে একটা ভীষণ নরবলি হইয়া গিয়াছে। অন্ধকারময় রজনীর অন্তরালে, এই ভীষণ কাণ্ড একজন বা একাধিক লোক দ্বারা সংঘটিত হইয়াছে বলিয়া অনুমিত হইতেছে। কয়জন লোক এ ব্যাপারে লিপ্ত ছিল, তাহার বিশেষ কোন প্রমাণ পাওয়া যায় নাই। মন্দিরের পুরোহিত বলেন—যে তিনি রাত্রে পূজাদির পর, যথারীতি দ্বার বন্ধ করিয়া চলিয়া গিয়াছিলেন। সম্ভবতঃ কেহ গভীর রাত্রে দ্বার ভাঙ্গিয়া মন্দির মধ্যে প্রবেশ করে। যে মাস্থ্যটাকে বলি দেওয়া হইয়াছিল—তাহার রুধিরাক্ত যুগুটী, মন্দিরের প্রতিমার পদতলের উপর ছিল—ধড়টা মন্দিরের বাহিরে একটা স্থানে পড়িয়াছিল। তাহা ছাড়া একখানি বহুমূল্য বেনারসী শাটা, সোণার কণ্ঠমালা ও দুই একখানি রৌপ্যালঙ্কার ও সেই প্রতিমার নিকট ছিল। এই নরবলি-যজ্ঞের উপযুক্ত যে সমস্ত পারাদি প্রয়োজন, তাহাও সেইস্থানে পাওয়া গিয়াছে। যে শাস্থের বিধানানুসারে এইরূপ নরবলি দিবার নিয়ম আছে, তদনুযায়ী এই সমস্ত পাত্ৰাদি নিৰ্ম্মিত হইয়াছে। পূজার উপকরণ, জিনিসপত্র ও মূল্যবান বস্ত্রীলঙ্কারাদি দেখিয়া প্রমাণ হইতেছে, কোন ধনবান বাঙ্গালী এই ঘটনার মূলে আছেন। অনুষ্ঠান পদ্ধতি দেখিল ইহাও বোধ হয়, তিনি কেবল ধনবান নহেন, তন্ত্ৰাদি-শাস্ত্রেও সুপণ্ডিত । যাহাকে বলি দেওয়া হইয়াছে—তাহার আকৃতি দেখিয়া চণ্ডাল-শ্রেণীর লোক বলিয়া বোধ হইতেছে। সাধারণে এই অনুমানেরই সমর্থন কবিয়াছে। নিহত ব্যক্তি কলিকাতার লোক নহে, সম্ভবতঃ নিকটস্থ কোন পল্পীগ্রাম হইতে তাহাকে আনা হইয়াছিল। ঘটনাস্থলে ফৌজদার সাহেব স্বয়ং উপস্থিত থাকিয়া তদারক করেন। তিনি মন্দিরের নিত্যপূজক ব্রাহ্মণকে গ্রেপ্তার করিয়াছেন বটে, কিন্তু এ পর্য্যস্ত কোনরূপ নূতন কথা এখনও জানিতে পারা যায় নাই । ( ২৪,৪৷১৭৮৮ ) সেকালের বাঙ্গালীর সাহেব-পুজা। সেকালের সাহেবেরা বাঙ্গালীদিগকে খুব ভাল বাসিতেন, তাহদের