পাতা:কলিকাতা সেকালের ও একালের.djvu/৭১০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ՏԳիՀ কলিকাতা সেকালের ও একালের । _ত খুব মেলামিশি করিতেন। কিসে তাছাদের দুঃখ দূর হয়, তাহার .cষ্টা করিতেন । বাঙ্গালী প্রজাগণকে সস্তানের স্থায় পালন করিতেন । এখনকার কালেও যে এ দৃশু দুলভ—তাহা নহে। আজকালও এমন অনেক প্রজাপ্রিয় রাজকৰ্ম্মচারী আছেন, র্যাহার এ দেশের লোকদিগকে যথেষ্ট প্রীতির চক্ষে দেখেন। এ যুগের বাঙ্গালীরা তাহাকে জোর হয়, একটা বিদায়ী অভিনন্দন না হয় প্রতি-ভোজ দিয়া, কৃতজ্ঞতা জানাইয় থাকে। কিন্তু সেকালের অর্থাৎ একশত বৎসর পূর্বের একটা ঘটনা শুনিয়া রাখুন। মিষ্টার টিলম্যান হেংকেল সাহেব, যশোরের প্রথম কলেক্টার। ওয়ারেণ হেষ্টিংসের আমলে তিনি এই পদ লাভ করেন । শেষ তিনি সুন্দরবনের নিমৰ্কীমহলের সর্বপ্রধান কৰ্ম্মচারী হন । যে সকল গরীব “মলঙ্গী” তাহার অধীনে চাকরী করিত, লবণ প্রস্তুত করিত, তিনি তাহদের সস্তানের স্যায় দেখিতেন। তখনও তিনি কৰ্ম্মে নিযুক্ত । কৃতজ্ঞ প্রজারা, তাহীদের প্রাণের আমুরক্তি দেখাইবার জন্ত, প্রত্যেক গৃহে তাহার মৃন্ময় মূৰ্ত্তি গড়িয়া দেবতার মত পুজা করিতে আরম্ভ করিয়াছিল। এই কথাটা পরে সংবাদরূপে সেকালের একখানি সংবাদপত্রে প্রকাশিত হয় । ( ২৪।৪।১৭৮৮) অতিকায় ভেট কী। লক্ষীয় নদীতে একটা ভেটুকী (সেকালে ইংরাজের ভেটুকী-মাছকে Cockup বলিতেন ) ধরা পড়িয়াছিল। এত বড় ভেটুকী-মাছ কখনও কাহারও চোথে পড়ে নাই। মাছটকে কোম্পানীর ঢাকা-ফ্যাক্টারিতে আনা হয়। দুইটী বংশদণ্ডে বাধিয়া আটজন কুলীতে ইহা বহিয়া আনে। মাছের পিঠে নয়টা বড় বড় কাটা ছিল। এ দেশের লোকের বলিল, মাছটা নয় বৎসরের। প্রত্যেক বৎসরে একটা করিয়া কাটা গঙ্গাইয়া উ ে। চোয়াল হইতে লেজের শেষ পর্য্যস্ত—ইহার দীর্ঘতা ছয় ফিট আট ইঞ্চি । দেহের পরিধি চারি ফিট দশ ইঞ্চি । সমস্ত মাছের পাকা ওজন—তিন মন দশ সের । ( ১৫l৫। ১৭৮৮) খিচুড়ী বিতরণ। বোধ হয় ১৭৮৮ খ্ৰীঃ অব্দে কলিকাতা সহরের মধ্যে গরীবদের বিশেষ অন্ধকষ্ট উপস্থিত হইয়াছিল। এজন্য দরিদ্রদের মধ্যে অন্ন বিতরণ জন্ত, একটা কমিটি সংগঠিত হয়। এই কমিটি, চাউল ও নগদ পয়সা গরীবদের মধ্যে বিতরণ