দ্বাবিংশ অধ্যায়। ❖ፃጫ
উড়িয়া মহলের বাব-আদায়।
পাঠক ! কলিকাতায় সেকালে উড়িয়ার আমদানী যথেষ্ট না থাকিলেও কতক - পরিমাণে ছিল বটে। কলিকাতা সহরে এই সমস্ত উড়িয়াদের একজন সর্দার থাকিত। তাহাকে “পরামাণিক” বলিত। পরামাণিকেরা কলিকাতায় নবাগত ও অধিবাসী উড়িয়াদের নিকট হইতে নিম্নলিখিত বিষয় বাবতে বৃত্তি আদায় করিত।
(১) যে কোন উড়িয়া কলিকাতায় চাকরীর জন্য আসিবে, তাহাকে বাৎসরিক চারি আনা দিতে হইবে।
(২) যে কোন উড়িয়া, সহরের মধ্যে স্ত্রীপুত্ৰ লইয়া বাস করিবে, তাহাকে বাৎসরিক এক টাকা দিতে হইবে।
(৩) যে সমস্ত উড়িয়া স্ব স্ব শ্রেণী মধ্যে বিবাহাদি করিবে, তাহাকে ক্ষমতামত কিছু “রস্থম” দিতে হইবে।
(৪) বিবাদস্থলে, যাহার দোষ প্রমাণ হইবে, তাহার নিকট হইতে দও “স্বরূপ” কিছু আদায় করা হইবে।
( ৫ ) যখন কোন লোকের বিবাহের অনুষ্ঠান হইবে, তখন তাহাকে একশত পান ও দশটা সুপরি দিতে হইবে ।
(৬) যদি কোন উড়িয়া, অন্য লোকের নিকট দুই চার টাকা ধার করে, আর দুষ্টামি করিয়া তাহা শোধ করিতে না চায়—এবং এরূপ স্থলে মহাজন যদি নালিশ করে, তাহ হইলে পরামাণিক, খাতককে উক্ত ঋণের টাকা দিতে বাধ্য করিবে ।
( ৭ ) যে কোন উড়িয়া, নিজের শ্রেণী ভিন্ন—দুষ্টামি করিয়া অন্ত শ্রেণীতে বিবাহ করিবে, তাছাকে দণ্ড-স্বরূপ কিছু দিতে হইবে।
(৮) যে উড়িয়া নিজের জাতি ছাড়া অপরের অন্ন-গ্ৰহণ করিবে, তাহাকে দগু-স্বরূপ কিছু অর্থ দিতে হইবে।
( ৯ ) যদি কোন উড়িয়া-ব্যাপারী, বা কাপড়-বিক্রেতা, ভগবানের কপায় (?) কলিকাতায় ব্যবসা করিতে আসে, তাহ হইলে সেই ব্যক্তি তাহার দোকানের জন্য পাঁচ টাকা করিয়া দিবে।
(১০) উড়ে সেকরা, ধোপা, চিনি-ব্যবসায়ী, মিস্ত্রী, শস্য-বিজেতাগণ কিছু কিছু বৃত্তি দিতে বাধ্য। -
( ১১ ) যে সকল উড়িষ্যাবাসীর কলিকাতায় মৃত্যু হইৰে, তাছার
পাতা:কলিকাতা সেকালের ও একালের.djvu/৭১৫
পরিভ্রমণে ঝাঁপ দিন
অনুসন্ধানে ঝাঁপ দিন
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।
