পাতা:কলিকাতা সেকালের ও একালের.djvu/৭৬৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ত্রয়োবিংশ অধ্যায় לסף সঙ্গে তাহার প্ৰিয়বন্ধু মিঃ শী ছিলেন ( পরে স্যর জর্জ নী)। লিগণ্ডের একজন জমাদার-সিপাহী, মেম-সাহেবের চীৎকার গুনিয়া এই শী সাহেবকে ধরিয়া ফেলে। গ্রাও, পরদিন এই সমস্ত ব্যাপার অবগত হইয়া, ক্ৰান্সিসকে দম্ব-যুদ্ধে আহবান করিয়াছিলেন। কিন্তু ফ্রান্সিস কতকগুলি কারণ দেখাইয়া, তাহা প্রত্যাখ্যান করায়, গ্রাণ্ড সাহেব সুপ্রীমকোটে —ফ্রান্সিসের নামে তাহার স্ত্রীর মানহানি, ইজ্জতনাশ ও তজ্জন্ত ক্ষতিপূরণের অভিযোগ উপস্থিত করেন। বিচারক ছিলেন, স্যর ইলাইজ ইম্পি, চেম্বাস ও হাইড। চেম্বাস বলেন “যখন প্রকৃত অপরাধের কোন প্রত্যক্ষ প্রমাণ নাই, তখন কোনরূপ ক্ষতিপূরণের দাবি চলিতে পারে না।” কিন্তু ইম্পি বলেন,- “কোনরূপ অত্যাচারের প্রমাণ না থাকিলেও, গ্রাণ্ড-পত্নীর বিশ্রীমকক্ষে গভীররাত্রে প্রবেশ করিয়া, ফ্রান্সিস তাহার সন্ত্রমের হানি করিয়াছেন।” এরূপ স্থলে চেম্বাস, তাহার সহযোগীদের মতের বিরুদ্ধাচরণ করিতে না পারিয়া বলেন—“বিশ হাজার টাক ক্ষতিপূরণ দেওয়া হউক।” জজ হাইড বলেন—“মান ও ইজ্জতের তুলনায় এ ক্ষতিপূরণ বড় কম—এক লাখ টাকা দেওয়া হউক।” শেষ ইম্পি মধ্যে পড়িয়া রক্ষা করিয়া দেন—“পঞ্চাশ হাজার।" ইহাই সৰ্ব্ববাদীসম্মতক্রমে গৃহীত হয়। ইম্পি এদেশ ত্যাগ করিলে ১৭৯১ খৃঃ অব্দে চেম্বাস সুপ্রীমকোর্টের চিফ-জষ্টিস হন। ১৭৯৯ খৃঃ অব্দে তিনি এদেশ হইতে চলিয়া যান । তিনিও এসিয়াটিক-সোসাইটীর সভাপতিত্ব করিয়াছিলেন। চেম্বাসের কলিকাতার বাটতে, একটা সুবৃহৎ লাইব্রেরী ছিল। এই লাইব্রেরীরা মধ্যে অনেক সংস্কৃত, উর্দু, পারসী, দুষ্প্রাপ্য ও বহুমূল্য গ্রন্থ ছিল। অনেক সংস্কৃতগ্রন্থের পাওলিপিও এই লাইব্রেরীতে ছিল। এগুলি তিনি বিলাতে সঙ্গে করিয়া লইয়া যান। র্তাহার সংগৃহীত সংস্কৃত পাণ্ডুলিপিগুলি "বার্লিনের রয়াল-লাইব্রেরী উচ্চমূল্যে কিনিয়া লয়েন। ইহার পর সুপ্রীমকোটের রত্ন, ইংলণ্ডের ও সৰ্ব্বজগতের গৌরবস্থল বাঙ্গালীর ও সৰ্ব্বভারতের অতিপ্রিয়, স্যর উইলিয়াম জোন্সের সম্বন্ধে টুইটারি কথা বলা উচিত। যিনি আমাদের দেশের সংস্কৃত-সাহিত্য ইয়া অতটা নাড়াচাড়া করিয়া গেলেন, তাহার সম্বন্ধে যাহা কিছু তব্য সংক্ষেপেই বলিতেছি ।