পাতা:কলিকাতা সেকালের ও একালের.djvu/৮০৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

મૂ૭ઝ কলিকাতা সেকালের ও একালের । “বিবি-মটের” নামোল্লেখ করিয়া গিয়াছেন। কয়েক বৎসরকাল, মটুসাহেব সেকালের কলিকাতার পুলিশ-বিভাগের বড়কর্তার কাজ করিয়াছিলেন। ব্রিটিশ মিউজিয়ামে, ইম্পির স্বহস্ত লিখিত যে সব কাগজপত্র আজও বর্তমান, তাহার মধ্যেও মিঃ মটের নামোল্লেখ দেখিতে পাওয়া যায়। “জীবনের শেষভাগে তাহার দারুণ অর্থকৃচ্ছতা ঘটিয়াছিল ও এজন্য তিনি কলিকাতাজেলে দেনার দায়ে আবদ্ধ হন—”ইম্পি তাহার পত্রে মটের সম্বন্ধে এই কথার উল্লেখ করিয়া গিয়াছেন। এখন এই মট্‌স-লেন, ইণ্ডিয়ান-মিরার ষ্ট্রীট নামে পরিচিত। এই গলির মধ্যে মিরর-সম্পাদক স্বৰ্গীয় রায় নরেন্দ্ৰ নাথ সেন বাহাদুরের আবাসবাট ও মিরার অফিস । রয়েড ষ্ট্রট। ৪১ নং ফ্রিস্থূল ষ্ট্রট হইতে এই রাস্তা আরম্ভ হইয়া, ইলিয়ট রোড়ে গিয়া মিশিয়াছে। কলিকাতা সুপ্রীমকোর্টের পিউনী-জজ, স্যর জন রয়েডের নামে এই রাস্তার নামকরণ হয়। রয়েড, সাহেব ১৭৮৭ খৃঃ অদ হইতে ১৮১৬ পৰ্য্যন্ত এদেশে জজিয়তী করেন । দুই একবার তিনি সুপ্রীমকোটর সেসনেও বসিয়াছিলেন। জজ রয়েডের এক মন্তব্য হইতে জানিতে পারা যায়, তাহার দাপটের চোটে, এই সময়ে কলিকাতার পুলিশবন্দোবস্ত খুব ভাল ছিল। কারণ প্রথম সেসনে তিনি দুইট বই মোকদমা পান নাই ও তাহা একদিনেই শেষ হয়। পার্ক ষ্ট্রীটে ইহঁর সমাধি এখনও বৰ্ত্তমান আছে । ইলিয়াট রোড। ট্রাম-কোম্পানীর দৌলতে, এখন ইলিয়াটরোড সৰ্ব্বসাধারণের নিকট পরিচিত। ইলিয়াট সাহেব পূৰ্ব্বোক্ত জজ রয়েডের সমকালীন ব্যক্তি। ইলিয়াট সাহেব, সেকালের কলিকাতা-বোর্ডের প্রেসিডেন্ট এবং পুলিশ ও কন্সারভেন্সির বড় কর্তা ছিলেন। তাহার কঠোর শাসমে, কলিকাতা সহরে চোর ডাকাতের ভয় কমিয়া যায়। চোর-ডাকাত ধরিতে ইনি সিদ্ধহস্ত ছিলেন। পার্ক ষ্ট্রীটে ইহার সমাধি বর্তমান। ইলিয়াট রোত কলিকাতার পুরাতন ম্যাপে “আহম্মদ জমাদারের রাস্তা” বলিয়াউল্লিখিত । রিপণ ষ্ট্রট । রিপশষ্ট্রট, মাকুইস স্ট্রীট, রিপন লেন, পাশাপাশি ও নিকটবর্তী স্থান অবস্থিত। সৰ্ব্বজন প্রিয় ভূতপূৰ্ব্ব বড়লাট লর্ড রিপণের নামে এই *