পাতা:কলিকাতা সেকালের ও একালের.djvu/৯৩৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পঞ্চবিংশ অধ্যায় । ৮৯৭ পুষ্করিণীগুলি খনিত হইয়াছে। ধরিতে গেলে, টাকশালের দুইটি প্রধান বিভাগ আছে। একটতে Copper বা তাম্র-মুত্র। প্রস্তুত হয়, অপরটি silver বা টাকা, সিকি আধুলি, দুয়ানি প্রস্তুতের জন্য নির্দিষ্ট। হ্রাও রোডের দুই পাশ্বেই মিন্টের কার্য্যালয় । দক্ষিণপাশ্বে রাজপ্রাসাদের ন্যায় সুন্দর বাটী। বামপাশ্বে ইঞ্জিনিয়ারের আবাস স্থান, রক্ষকদিগের কোয়ার্টার ও পুলিশ-সাহেবের বাসস্থান। মেজর ডব্লু, এন, ফৰ্ব্বস, আর, ই, এই টাকশাল ঝটিটা নিৰ্ম্মাণ করেন। এই স্বন্দর বাটিটর সম্মুখে অসংখ্য স্তম্ভশ্রেণী। বাহিরের দৃশ্য, এথেন্স নগরীর মিনার্ড-দেবীর (Temple of Minerva ) মন্দির দৃশ্যের অনুকরণে নিৰ্ম্মিত। জনরব—এই বাটীর ভিত্তি অতি গভীর। উপরে যতটা দেখা যায়, নীচেও নাকি ততট{ ভিত্তি আছে। মিণ্ট সীমানার মুবৃহৎ পুষ্করিণীর পার্শ্বে, সিভিল ও মিলিটারী গার্ডগণের অfবাসস্থান । ১৮৬৫ খ্ৰীঃ অবো কপার-মিণ্ট খোল। ** I & «ifá áútàfà Nt&W Mint-Master, Accountant's Office, Record Room, Assay Office s Laboratary atts I of go ইহার মধ্যে কয়েকট কারখানাও অাছে। মিণ্ট-মাষ্টারের নিকট অনুমতিপত্ৰ লইতে পারিলে, ইহার মধ্যে প্রবেশ করিতে পাওয়া যায়। বেলা ১১ট হইতে ১টা পৰ্য্যন্ত রূপা গলান হয় ; এই সময়েই টাকশাল দেখা উচিত । এই ট'কশালের একটা অতীত ইতিবৃত্ত আছে। পাঠকের তাহা শুনিয়া রাখা উচিত। পুরাকালে কৌন্সিলের এক মস্তব্যে প্রকাশ– “১৭০৯ খৃঃ অন্ধের অক্টোবর মাসে, কোম্পানীর কলিকাতা কেন্সিলের এক মন্তব্য হইতে দেখা যায়,” বাঙ্গালার নবাব জাফর খা (মুরশীদ গুলী বা ) কোম্পানীর মান্দ্রাজী-টাকা মোগলের খাজনা হিসাবে লষ্টতে আপত্তি করিতেছেন। মান্দ্রাজী-টাকায় জন্য, কোম্পানীকে অনেক বঁটা দিতে হয়, এজন্য র্তাহীদের আর্থিক ক্ষতি হইয়া থাকে। আমরা নবাবের নিকট হইতে মুরশিদাবাদের টাকশালে টাকা প্রস্তুত করাইবার সন্মতি পাইয়াছি। যদিও বাদশাহ তাহার ফারমানে ( ১৭১৭ খৃঃ অব্দে ) বিনাব্যয়ে নবাবী টাকশাল হইতে মুদ্র প্রস্তুত করাইবার আদেশ দিয়াছিলেন, কিন্তু এই নবাব জাফর-খণর প্রতিযোগিতায় তাহ হয় নাই । আমাদের কাশিমবাজারের কৰ্ম্মচারীরা এ সম্বন্ধে চেষ্টা করিয়াও বিফল মনোরথ হইয়াছেন।” ইহার পর নবাব সিরাজউদৌলার , সহিত లి