পাতা:কলিকাতা সেকালের ও একালের.djvu/৯৮৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পঞ্চবিংশ অধ্যায়। ৯৪৫ কলায়-বাসনার ক্ষারে কাপড় কাচা হইত বলিয়া, রঙ্গক-কন্যা তাহার পিতাকে এই কথা বলিয়াছিল। কিন্তু লালাবাবু মনে মনে ভাবিলেন-“কই আমারও ত জীবনের বেলা গেল। দিন ত শেষ হইয়৷ আসিতেছে 膏 বাসনার দাস হইয়া মুখে ও বিলাসে জীবন কাটাইতেছি, বাসনায় আমি আগুন ধরাইতে পারিলাম কই ?” । 彰 -- ত্রিশ বৎসর বয়সে, লালাবাবু মথুরাবাসী হয়েন। ধনী-সন্তানের এরূপ অদ্ভুত ৰৈরাগ্য, রাঙ্গালীর ইতিহাসে অতি দুলভ। বৃন্দাবনে, লালাবাবুর নাম এবং তাহার কীৰ্ত্তিকলাপ এখনও পূর্ণ-শক্তিতে সঞ্জীবিত আছে। কৃষ্ণসন্ত্র বলিয়া এক বিগ্রহ ও তৎসংলগ্ন সেবাবাড়ী তাহার ব্যয়ে এখনও পরিচালিত হইয়া, তাহার কীৰ্ত্তি-ঘোষণা করিতেছে। আজও পৰ্য্যন্ত এখানে সদাব্রত ব্যবস্থা আছে। এই বিগ্রহ প্রতিষ্ঠার জন্ত, তাহার ২৫ লক্ষটাকা ব্যয় হইয়াছিল। রাজপুতানা হইতে মাৰ্ব্বেল পাথর আনাইয়া, এই বিগ্ৰহমন্দির প্রতিষ্ঠিত হয়। - এই মন্দির-প্রতিষ্ঠা ব্যাপারে, লালাবাবুকে এক মহাবিপদে পড়িতে হইয়াছিল । রাজা কৃষ্ণচন্দ্র ওরফে লালাবাবু, এই সময়ে পছন্দমত প্রস্তর ক্রয় করিবার জন্ত, স্বয়ং রাজপুতানায় যান। তখন স্বনামপ্রসিদ্ধ লর্ড মেটকাফ, ' রাজপুতানার পলিটিকাল-রেসিডেণ্ট । এই সময়ে ইষ্ট-ইণ্ডিয়া কোম্পানীর পক্ষ হইতে, তিনি রাজপুতানার কয়েকটী রাজাকে সন্ধিবন্ধনে আবদ্ধ করিবার চেষ্টা করিতেছিলেন। লালাবাবুও তখন রাজপুতানায় ছিলেন । রাজপুতানার একজন স্থানীয় রাজা, সন্ধিপত্রে স্বাক্ষর করিতে অসম্মত হওয়ায়, লর্ড মেটকাফের মনে সন্দেহ হয়, যে লালাবাবু তাহাকে কুমন্ত্রণা দিয়া বিরুদ্ধাচারী করিয়াছেন । এই সন্দেহবশে, তিনি লালাবাবুকে দিল্লীতে লইয়া যান। সেইস্থানে তাহার অপরাধ সম্বন্ধে বিশেষভাবে অল্প মৃদ্ধান হওয়ায় প্রকাশ পায়, যে তিনি সেই ব্যাপারে সম্পূর্ণ নির্দোষী । স্যর চালর্স, লালাবাবুর উপর বিশেষ সন্তুষ্ট হইয়া, তৎকালীন দিল্লীরসম্রাটের সহিত র্তাহার পরিচয় করাইয়া দেন। দিল্লীশ্বর, লালাবাবুর প্রতি প্রসন্ন হইয়া, তাহাকে, “মহারাজা” উপাধি দান করিবার ইচ্ছা প্রকাশ করিলে, লালাবাৰু বলেন—“সম্রাট! আমি সৰ্ব্বত্যাগী ভিখারী। উপাধির লেfচ ও ইহলোকের গৰ্ব্বচিহ্ন পরিত্যাগ করিয়াই আমি বৈরাগা-মার্গ অবলম্বন করিয়াছি। রাজোপাধিতে আমার আর কোন প্রয়োজন নাই। : চল্লিশ বৎসর বয়সে লালাবাবু বৈঞ্চব-শাস্ত্রোক্ত “মাধুকী তারপর $ >》铃 ? -