পাতা:কলিযুগ (চন্দ্রশেখর সেন).djvu/১০২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শুরুকর্তৃক আদিষ্ট হইলে, কম্পান্বিতকলেবরে নিবিড়তমসাচ্ছন্ন গুহাভ্যন্তরে প্রবেশ করিয়া বালক দেখিল,—সেই গভীর অন্ধকার ভেদ করতঃ এক প্রকাণ্ড দীপ্তিমান চক্ষু দপ্‌ দপ্‌ করিয়ু৷ জলিতেছে ;--ভয়ঙ্কর দৃপ্ত ! কোন প্রকারে বাহিরে আমি গুরুকে সংবাদ দিলে তিনি বলিলেন,-“যাও, তোমার সিদ্ধি হইয়াছে।” তদনন্তর কতকগুলি উপলখণ্ড দেখাইয়৷ তদুপরি এক একট যন্ত্র * অকিতে অনুমতি করিলেন ; আঁকি শেষ হইলে আজ্ঞা দিলেন,—“বাড়ী যাও, তথায় আপন প্রকোষ্ঠের দ্বার রুদ্ধ করতঃ নবপরিচিত ব্যক্তিকে প্রস্তরগুলি তোমার সম্মুখে উপস্থিত করিতে হুকুম দাও । এবন্দ্র কারে উপদিষ্ট হইয়া বালক গৃহে প্রত। গমন করতঃ যথাবিধানে কার্য্য করিলে পাথরগুলি তাহার পদ প্রান্তে আনীত হইল। প্রক্রিয়া সফল দেখিয়া সন্ন্যাসীসকাশে তদ্বাৰ্ত্ত জানাইলে, তিনি বলিলেন,—“প্রদর্শিত :িহু যে দ্রব্যের উপর আঁকিবে, তাহ ঐ প্রকারে আয়ত্ত্বাধীনে আসিবে ; কিন্তু জানিও, উক্ত শক্তি দ্বারা যাহা কিছু তুমি পাইবে, তাহা তোমার নিকট স্থির না থাকিয়া সত্বর হস্তান্তরে যাইবে।” সাধুর এই কথাগুলি বরাবর ফলিয়া আসিয়াছিল । উল্লিখিত বালকের নাম হোসেন । ইনি সিপাহীবিদ্রোহের ঠিক পরবর্তী সময়ে কলিকাতায় আসিয়া বহুদিন তথায় হোসেনর্থ জিন্নী নামে প্রখ্যাত ছিলেন। আমাদের সমবয়স্ক দিগের মধ্যে অনেকেই তাছার বুজরুকী প্রত্যক্ষ করিয়াছেন। কলুটোলার প্রসিদ্ধ ধনকুবের yহীরালাল শীলের কাশীপুরস্ত

  • Mystic Sign.