একবারও উঠেন নাই, বসেন নাই, কোন কথা কহেন নাই, কাহারও দিকে তাকান নাই, এমন কি স্বয়ং রাজ্যেশ্বর সম্মুখে উপস্থিত হইয়া প্রশ্নদি করাতেও কোন উত্তর প্রদান করেন নাই ৷ শীত, ছিম, রৌদ্র, বৃষ্টি, ধুলি, কদমের মধ্যে একাবস্থায় ধার-স্থির ভাবে অবস্থান করতঃ বিলক্ষণ দ্বন্দ্বদহিষ্ণুতার পরিচয় দিয়া অল্পদিন হইল সন্ন্যাসী তনুত্যাগ করিয়াছেন । জীবিতকালে প্রত্যহ প্রাতে ও সন্ধ্যায় সহস্ৰ সংস্ৰ লোক ইহাকে দণ্ডবং করিতে হাসিত । ( 3 ) পঞ্জাবের অন্তর্গত অমৃতসর নগর শিখদিয়ে প্রধানতীর্থ গুরুদ্বারার জন্য বিখ্যাত। তথায় সৰ্ব্বদা বহুবিধ সাধু-সন্ন্যাসীর সমাগম হুইয়া থাকে ; ওমান সাহেব বলেন --১৮৯৮ খৃষ্টাব্দে যখন জলন্ধর-প্রদেশে ভয়ঙ্কর প্লেগের প্রাদুর্ভাব, তখন পূঞ্জাবময় একটা ঘোর বিভীষিক উপস্থিত হয় ; রোগের প্রভাবে যত না হউক সরকারী বন্দোবস্তের মতাচারের ভয়ে প্রজাকুল আকুল হইয়াছিল । সেই সময় অমৃতসরে একজন সাধু আসিয়া নগরের বাহিরে কোন সরোবরতীরে আসন স্থাপন করত; সৰ্ব্বসাধারণের মধ্যে প্রকাশ করেন যে, অমৃতসরে র্যাহাতে প্লেগ না আসিতে পারে তজ্জন্ত তিনি তথায় উপস্থিম্ভ ; অতএব প্রত্যহ দীন দুঃখীদিগকে পরিতোষপূৰ্ব্বক ভোজন করান হউক । যেহেতু উহাই তাহার মতে প্লেগামুরের হস্ত হইতে রক্ষা পাইবার প্রকৃষ্ট উপায়। র্তাহার উপদেশানুসারে কার্য্য হইয়াছিল এবং অমৃতসরে প্লেগ প্রবেশ করিতে পারে নাই ।