পাতা:কলিযুগ (চন্দ্রশেখর সেন).djvu/৬৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কলিযুগ । । ళిని রূপ লিপিবদ্ধ করিয়াছেন মাত্র—এমন কি, সময়ে সময়ে আদত লেখাগুলিও তাহাদের নিকট হইতে আসিয়াছে, তিনি হুবহু নকল করিয়া লইয়াছেন । পুস্তক গুলি ষে তাহার মস্তিষ্কপ্রস্থত নহে এ কথা উড়াইয়া দিবার যে নাই, যেহেতুক পৃথিবীর নানাদেশের নানাজাতির ভিন্ন ভিন্ন ভাষায় রচিত বহুবিধ শাস্ত্র সম্যক রূপে অধ্যয়নাস্তে আয়ত্ত করা মমুষ্যের অসাধ্য । হাজার দীর্ঘায়ু হইলেও কাছারও ঐ সমস্ত প্রাচীনভাষায় লিখিত গ্ৰন্থরাশি মৃংগ্রহ করতঃ গুদু ে গুলি পাঠ কfরতে পারাৎ অসম্ভব, হৃদয়ঙ্গম কল্প ত দূরের কথা। এস্থলে উভয়সঙ্কট— যদি তাহার কথা অবিশ্বাস করা হয় তাহা হইলে অস্বীকার করিবার উপায় নাই যে, তিনি স্বল্পকালমধ্যে ঐ সকল ভাষা সুচারুরূপ শিক্ষা করিয়া পুস্তকরাশি সংগ্রহ করতঃ এবহুপ্রকার গভীরভাবে অধ্যয়ন ও জার্ণ করিয়াছিলেন, যাহার ফল উক্ত গ্রন্থগুলি ; তাহা হইলে ঘাড়পাতিয়া মানিতে কুইবে যে তাছার মত অলৌকিক শক্তিসম্পন্ন, পণ্ডিত, জ্ঞানী, বুদ্ধিমতী মেধাধিনী, অধ্যবসায়শীল পৃথিবীতে আর জন্মায় নাই সুতরাং তাহার কথা সকল অবশুমান্ত ; অন্যথা তাহার বাক্য গ্রহণ করতঃ বুঝিতে হৰ্চবে ষে পুস্তকগুলি ত্রিকালজ্ঞ মহর্ষিগণ কর্তৃক প্রণীত, অতএব যথোচিত শ্রদ্ধাসহকারে ওগুলিকে পূজা করিতে আমরা বাধ্য। এখানে বলিয়া রাখা উচিত যে থিয়সফিকাল সোসাইটির পৃষ্ঠপোষক “মহাত্মার” জীবন্মুক্ত মহর্ষি ভিন্ন আর কিছুই নছেন । অধিক কি বলিব ? ইহাদের একজন স্বয়ং সামবেদের কৌধুমীশাখার প্রণেতা ; জীবের প্রতি বিশেষ করুণাপরবশ হইয়া এরূপ জ্ঞানবিতরণে ব্ৰতী হইয়াছেন ! ! ! পাঠক যাচার্চ বলুন, ইহা কঠোর সত্য !