দেবগণের মর্ত্যে আগমন । 28.9 বরুণ । শোণ ! তুমি বিধাতাকে দোষী করে না। তুমি জেন বিধাতা তোমার দুঃখে সুখী নহেন । র্তাহার এক্ষণে ককটির গর্ভধারণ হইয়াছে। এই মনুষ্য কর্তৃক তাহার ধ্বংস না হইলে পৃথিবীর ও ধ্বংস হুইবে না এবং তোমাদিগেরও দুঃখ ঘুচিবে না । শোণ ! ঐ চেয়ে দেখ সামান্য বেশে বৃদ্ধ বিধাতা তোমার কুলে দণ্ডায়মান । ঐ চেয়ে দেখ দীন বেশে স্বর্গের অধিরাজ উপস্থিত। আর এই দেখ আমি তোমাদের অধিপতি স্বয়ং বর্তমান । বংস । আজ আমাদের এ অবস্থা কেন ? যে ভারত দেবগণের বিলাসভবন, যে ভারতে দেব তার! ক্ষণে ক্ষণে মাসিয়া রঙ্গ দেখিতেন, যে ভারতে মহর্ষি নারদ ঢেকী আরোহণে অহোরাত্র পরিভ্রমণ করিয়া স্বর্গে টেলিগ্রাফের সংবাদ যোগাইতেন, আজ সেই ভারতে আমরা কে তুমি বিবেচনা কর? আজ আমাদের এ বেশ এ চোরের ন্যায় বেশ দেখে কি দেবতা বলে বিশ্বাস হয় ? শোণ । যে দেবতারা কটাক্ষে সকল করিতে পারেন আজ দেখ সেই দেবতার। থাড ক্লাশের প্যাসেন জার টেণে কলিকাতা দেখিতে যাইতেছেন। কেন, ইছাদের কি অর্থাভাব ? তাই এভাবে যাইতেছেন ? তা নয়, ফাষ্ট ক্লাশে যাইলে পাছে ইংরাজের ঘুসি খেতে হয় এই আশঙ্কা। ব্ৰহ্ম। দেখ শোণ ! তোমাদের দুঃখে আমি পৃথিবী ধ্বংস করিতেও প্রস্তুত অাছি । কিন্তু পাছে দেব বাক্য লঙ্ঘন করা হয়, পাছে দেব নামে কলঙ্ক স্পর্শ করে, এই আশঙ্কাতেই পেরে উঠিতেছি না । দেব তারা অগ্র পশ্চাৎ বিবেচনা না করিয়া এক একটা বর দিয়া এমন বিপদ ঘটান, যে তাঙ্গ শোধরাইতে অনেক কষ্ট এবং অনেক সময় লাগে । শোণ ! তুমি শুনে থাকবে ত্ৰিজট নামে এক রক্ষসী সীতার চেড়ী ছিল । ঐ ত্ৰিজটা অশোক বনে সীতার যথেষ্ট সেবা শুশ্ৰুষা করে। শ্রীরামচন্দ্র সীতার উদ্ধার করিয়া আনিবার সময় ত্ৰিজটা সীতা বিরহে অত্যস্ত কাদিতে লাগিলেন । রামচন্দ্র তাহাকে অনেক প্রবোধ বাক্যে সাম্বন৷ করিয়া সৰ্ব্বশেষে একটা বানর দিয়া কহেন ত্ৰিজটে । ইহার দ্বারা তোমার গর্ভে যে সন্তান হইবে, তাহার বংশাবলীরা এক সময়ে.সাগর পার হইয়া ভারতে আসিয়া রাজ্য বিস্তার পূর্বক কাচা পাকা ধরে ধরে খাবে, আমি সেই ত্ৰিজটার বংশাবলীর রাজ্য বিস্তার না দেখে কি প্রকারে পৃথিবী ংস করি ? শোণ ! তাহ হলে যে দেববাক্য অমান্য করা হয় । তাহ হলে যে দেব নামে কলঙ্ক স্পর্শ করে । শোণ । তবে আমরা কত কালে উদ্ধার হব ?
