পাতা:কল্পদ্রুম তৃতীয় খণ্ড.djvu/৪৩২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8७० कुंकषं । । আলাপ ছিল না। এক্ষণে অন্তরাল হইতে র্তাহার কথাবার্তা শুনিয়া মনে মনে কহিতে লাগিলেন “ মা, বলেন—আমার কিরণের অদৃষ্ট ভাল, জামাই তিনটে পাশ ; কিন্তু একি ! পাগল না জানোয়ার ! !” এ দিকে শ্যামামুনার ভাগীরথীতে স্বান করিয়া সেই সমস্ত একত্রে বাধা বাশ পাতার কোড়, তীর, ধনুক ইত্যাদি বারিপূর্ণ ঘটে নিমগ্ন করাইয়া জামাই ও কন্যাগণের উদ্দেশে “ ষাট ষাট " শব্দে আশীৰ্ব্বাদ-বারি নিজ বক্ষে নিক্ষেপ করিতে লাগিলেন। আশীৰ্ব্বাদ করা শেষ হইলে বাটতে প্রত্যাগমন করিয়া প্রাঙ্গণে একটা বটের ডাল পুতিলেন। এবং তাহার তলে একটা পিটুলির বেরাল, তীর, ধনুক প্রভৃতি রাখিয়া এবং নানাবিধ নৈবেদ্য ও ধূপ দীপ সাজাইয়া পুরোহিত কন্যার জন্য অপেক্ষা করিতে লাগিলেন। দুই কন্যা মালতী এবং কিরণময়ী এই সময় মাতার নিকটে গিয়া বসিল । দেখতে দেখতে পুরোহিত কন্যা রামী ঠাকুরাণী আসিয়া উপস্থিত হই লেন। তখন পূজা আরম্ভ হইল। খুজা শেষ করিয়া রামী ঠাকুরাণী, শ্যামাসুন্দরী ও কিরণময়ীর হাতে এক একটা ফুল দিয়া আশীৰ্ব্বাদ করিয়া কহিলেন “ ধনে পুত্রে লক্ষ্মী লাভ কর, পাকা মাথায় সিঁদুর দেও, ঝি জামায়ের মা হয়ে চিরকাল মাচ ভাত খাও। • আশীৰ্ব্বাদ শেষ হইলে সঙ্গে একখানি গামচা আসিয়াছিল। তাহাতে নৈবেদ্যের দ্রব্য সামগ্ৰীগুলো ভাল করে বন্ধন করিয়া নিজ কায়দায় রাখিলেন এবং সিচুরের পাতাট শ্যামামুন্দরীকে কপালে দিতে দিয়া ষষ্ঠীর কথা আরম্ভ করিলেন ;–

  • এক তিলিদের বেী অত্যন্ত পেটকী ছিলেন। তিনি মুকিয়ে মুকিয়ে হাড়ি থেকে ভাঙ্গা মাচ খান, কড়া থেকে দুদের সর তুলে খান ; শাশুড়ি জিজ্ঞাসা করিলে বলেন “ একটা কাল বিড়াল এসে খেয়ে গিয়াছে ৷ ” বিড়ালের নামে বদনাম দেওয়ায় ষষ্ঠীর মনে রাগ হলো। তিনি, বোঁ বিয়ুলেই বেরালকে শিখিয়ে দেন আঁতুড় ঘর থেকে ছেলে চুরী করে আন। এরূপে বেী যত ছেলে বিয়োন বেরাল মুখে করে নিয়ে গিয়ে ষষ্ঠীর কাছে রেখে আছে। বেী ছেলে যাওয়ায় কর্ণদতে লাগলেন, শাশুড়ী ষষ্ঠীতলায় গিয়ে ধন্না দিলেন। স্বপ্ন হলো—তোর বেী আমার বেরালের নামে বদনাম দেওয়ায় আমিই ছেলে এনেছি। ফেরত দিচ্চি নিয়ে যা। সকলকে সাবধান করে দিস কেউ যেন চক্ষে না দেখে আমার বেরালের দোষ