পাতা:কল্পদ্রুম তৃতীয় খণ্ড.djvu/৫০১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

হিন্দুসমাজের বর্তমান শোচনীয় অবস্থার কারণ কি? ৪৯৭ পূৰ্ব্বকালে আৰ্য্যাগণ কিরূপ বিদ্যাবতী ও ধৰ্ম্মশীলা ছিলেন, তাহদের মনের উন্নতি কত দূর হইয়াছিল, তাহারা প্রকৃত গৃহস্থ থাকিয়াও কি পৰ্য্যন্ত আত্মোৎকর্ষ সাধন করিয়া পৃথিবীমধ্যে নারীচরিত্রের উচ্চ আদর্শ দেখাইয়া গিয়াছেন, তাহ আলোচনা করিলে অবাক হইতে হয়। আজকাল শিক্ষাদোষে এবং স্বার্থসিদ্ধির অভিপ্রায়ে শাস্ত্রের দোহাই দিয়া হিন্দু অঙ্গনাদিগকে উচ্চ বিদ্যাধিকার ও শাস্ত্রালোচনা হইতে বঞ্চিত করা হইয়াছে, কিন্তু ইহা কি সীমান্য শ্লাঘার বিষয় যে বৈদিককালে বরবর্ণিনীগণ কথোপকথন চ্ছলে যে কিছু বলিয়াছিলেন, তাহ পরবর্তি যুগের শাস্ত্রমধ্যে সন্নিবিষ্ট হইস্বাছিল, এবং তাহাই পাঠ ও শিক্ষা করিয়া কত মূখ পণ্ডিত হইয়াছেন, কত অবিবেকী বিবেকী হইয়া জীবনের সার্থক্য সম্পাদন করিয়া গিয়াছেন । মৈত্রেয়ী ও গাগী প্রভৃতি মেষিদগণ বেদসংগ্রাহকদিগের উপায়স্বরূপ ছিলেন, র্তাহাদের বাক্যই বেদমধ্যে গ্রথিত হইয়া রহিয়াছে। তাহ অধ্যয়ন করিয়া অন্যে পরে কী কথা পরমজ্ঞানী শঙ্করাচার্য্য বেদব্যাস জনক ও শুক প্রভৃতি যোগিগণ পরমপুরুষাৰ্থ লাভ করিয়া গিয়াছেন । নিম্নে দুটা মাত্র বৈদিক আখ্যায়িক লিপিবদ্ধ করিলাম, পাঠক ও পাঠিকাগণ চিন্তা করিয়া দেখুন, সেকাল আর একালের হিন্দু অবলা প্রকৃতি কত বিভিন্নভাব ধারণ করিয়াছে । “ সাহোবাচ মৈত্রেয়ী যন্নমইয়ং ভগোঃ সৰ্ব্ব পৃথিবী বিত্তেন পূর্ণ । স্যাৎ স্যামহং তেনামৃত হোনেতি ” । বৃহদারণ্যক উপনিষদ। চতুর্থ অধ্যায়। ৫ ব্রাহ্মণ । অর্থাৎ । সেই বেদভূষণ মৈত্রেয়ী স্বামীকে কহিতেছেন, যে, হে ভগবন। যদি ধনেতে পরিপূর্ণ এই সমুদায় পৃথিবী আমার হয়, তবে সেই ধনদ্বারা আমি অমর হইতে পারি কি না ? মহাযোগী যাজ্ঞবল্ক্য উত্তর দিতেছেন । “ নেতি হোবাচ যজ্ঞবল্ক: যথৈবোপকরণবতাং জীবিতং তথৈব তে জীৰিতং স্যাৎ অমৃতত্বস্য তু নাশাস্তি বিত্তেনেনি।” । অর্থাৎ । তাহ ধনের দ্বারা প্রাপ্ত হওয়া যায় না, ভাগ্যবান ব্যক্তিদিগের যেরূপ জীৰন, তোমারও সেইরূপ হইবে, ধনের দ্বারা অমৃতত্বের আশা नहेि । ( ৬৩ )