Œ ©bም t কল্পক্রম । এবং তদবধি ভক্তির সহিত মনসার পূজা আরম্ভ করিলেন। অদ্যাপি এই চম্পাইনগরে বৎসর বৎসর শ্রাবণ সংক্রাস্তিতে এই উপলক্ষে একটা করিয়া বিখ্যাত মেলা হইয়া থাকে। এখান হইতে কিছু দুরে যাইয়া বরুণ কহিলেন “ পিতামহ ! সম্মুখে ঐ যে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র তিনটা পাহাড়ের মত উচ্চ জমি দেখিতেছেন, উহারই নাম সাতালি পৰ্ব্বত। লোকে বলে—এই পৰ্ব্বতের উপরেই নর্থীন্দরের সর্পাঘাতে মৃত্যু श्प्ल ! - - ইন্দ্র। বরুণ ! ওদিকে দেখা যাচ্চে ও সুন্দর বাড়িটা কাহার ? বরুণ। চম্পইনগরের রাজার। ইনি একজন জমীদার কিন্তু লোকে রাজা বলিয়া ডাকে। যে স্থানে উনি বাড়ী করিয়াছেন, ঐ স্থানে চাদসদাগরের বাড়ী ছিল । ইন্দ্র। ঐ জমীদার জাতিতে কি ? লোক কেমন ? বরুণ। উইর জাতিতে কায়স্থ, আদি বাস বঙ্গদেশে ; কিন্তু এক্ষণে প্রায় হিন্দুস্থানীর মাকার প্রাপ্ত হইয়াছেন। ইহার বংশাবলি প্রায় দুই শত বৎসর এখানে বাস করিতেছেন, ধৰ্ম্ম কৰ্ম্মে বেশ আস্থা আছে, এবং প্রতিদিন অতিথি সংকারাদি সংকৰ্ম্মেরও অনুষ্ঠান হইয়া থাকে। এখান হইতে কিছু দূরে যাইয়া দেবতারা দেখেন, এক খানি দ্বারবদ্ধ ঘোড়ার গাড়ি রহিয়াছে। গাড়ির মধ্যে স্ত্রীলোকেরা পরস্পরে বিবাদ করিতেছেন। এক রমণী কহিতেছেন “ ভোজে আমার পাতে সন্দেশ বেশী পড়িয়ছিল। না হবে কেন, স্বামী আমার ষ্টেষণের হৰ্ত্ত কৰ্ত্ত বিধাতা । তিনি ঘণ্টা মার না বলিলে গাড়ি চলে না। ” আর এক রমণী কহিলেন “ ওলো থাম, তোর স্বামীর চাইতে আমার স্বামীর ক্ষমতা বেশী, তিনি তারে খবর না পাঠালে ত গাড়ি আসে না, তোমার স্বামী ঘণ্টামায়ু বলিতে পারেন না। ” আর এক রমণী কহিলেন “ বল্পে গুমোর করা কিন্তু না বলেও থাকৃতে পারলাম না—বলি আমার স্বামী টিটিক না বে! দিলে গাড়ী কি বোঝাই নিয়ে চলে যাবে?” এই কথা শ্রবণে আর এ রমণী কহিলেন “ তবে আমিও বলি—আমার স্বামীর কাছে স্কুলে পড়ে বিদ্যার জাহাজ নিয়ে তবে ত ইহার এসে রেলে চাকরী কর চেন! * ইন্দ্র। বরুণ! গাড়িতে ইহার কারা ? বরুণ। কথার ভাবে বোধ হচ্চে—ষ্টেষণ মাষ্টার বাবুর স্ত্রী, টেলিগ্রাফের
