পাতা:কল্পদ্রুম তৃতীয় খণ্ড.djvu/৫৫১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

হিন্দুদিগের বহির্বাণিজ্য । &86: শেষ সম্পর্ক হয় ” এই শিরোনাম দিলাম, পাঠকগণের সন্দেহ বিমোচনার্থ সৰ্ব্বাগ্রে সেই সম্বন্ধে দুই একটা কথা বলিতে বাধ্য হইতেছি । হিন্দুদিগের বহিৰ্ব্বাণিজ্য যদিও বহুদূরব্যাপী ও বহু প্রশংসনীয় ছিল, কিন্তু এক্ষণে তাহ বিশেষরূপে অবগত হইবার কোন উপায় নাই। তবে অনুমানের উপর নির্ভর করিয়া কতক প্রমাণ করা যাইতে পারে সত্য ; কিন্তু তাহা অনেকের হৃদয়গ্রাহী হইবে না বলিয়া আমরা এ প্রস্তাবটাকেও পূৰ্ব্বপ্রস্তাবের ন্যায় উপরি উক্ত শিরোনাম দিয়া আলোচনা করিতে ইচ্ছা করি। গত বারে আমরা এসিয়ার প্রধান প্রধান প্রাচীন দেশগুলির নামোল্লেখ করিয়াছি,এবার আফুিকার ও ইউরোপের কোন কোন স্তানে প্রাচীন হিন্দুগণ বাণিজ্যাৰ্থ বা অন্যান্য বিষয় কৰ্ম্মোপলক্ষে গমনাগমন করিতেন, তাহারই অনুসন্ধানে প্রবৃত্ত হইলাম। আফুিকা । আফ্রিকা অনুৰ্ব্বর মহাদেশ । ইহার দক্ষিণভাগ অদ্যাপি অনেকদূর পর্য্যন্ত অপরিজ্ঞাত অবস্থায় আছে ; আর মধ্যভাগে ত ভীষণ শাহারা মরুভূমি প্রচণ্ড স্বৰ্য্যতাপে উত্তপ্ত হইয়া দিবানিশি অগ্নিস্ফলিঙ্গের ন্যায় উত্তপ্ত বালুকাকণা চতুর্দিকে বিস্তার করিতেছে। সেখানে যাইবার আবশ্যকতা নাই, গাত্র দগ্ধ হইবার বা অন্ধ হইয়া যাইবার সম্ভাবনা ! মিসর, কার্থেজ প্রভৃতি যে দুই একটা উৰ্ব্বর ও প্রাচীন স্থান উত্তর ও উত্তর পশ্চিমাংশে অবস্থিত আছে, সেই স্থানেই অনুসন্ধান করিয়া দেখি । কিন্তু বলিয়। রাখি, বালুকার হস্ত হইতে সম্পূর্ণরূপে পরিত্রাণ পাইবার কোন সম্ভাবনা नाझे । মিসর। মিসর নদীমাতৃকদেশ। নীল নদই এখানকার অধিবাসিগণের জীবনরক্ষকস্বরূপ । মিসরের প্রাচীন ইতিহাস পাঠ করিলে জানিতে পারা যায়, মিসর অতি প্রাচীন দেশ। এখানকার শিল্প, ও বাণিজ্যাদি অতি বিস্তৃত ও প্রশংসনীয় ছিল। প্রায় ৩০০০ সহস্ৰ বৎসর অতীত হইতে চলিল, এখানে পিরামিড, নামে যে অতু্যচ্চ প্রকাও প্রকাও প্রস্তরময় মনুমেন্ট নিৰ্ম্মিত হইয়াছে, তাহাই প্রাচীন মৈসরীগণের শিল্পনৈপুণ্যের ও ভূয়সী ক্ষমতার পরিচয় প্রদান করিতেছে। ইহা যে কি উদেশে কোন ব্যক্তির দ্বারা নিৰ্ম্মিত হইয়াছে, যদিও তাহার কিছুই অবগত হওয়া যায় না, তথাপি ইহা দ্বারা মিসরবাসিগণ যে এক সময়ে অত্যন্ত সমৃদ্ধিশালী ক্ষমতাপন্ন শিল্পনিপুণ জাতি ছিল, তাহা সহজেই স প্রমাণ হইতেছে। কত শীত, কত বর্ষ যে ইহার মস্তক ( ৬৯ )