পাতা:কল্পদ্রুম তৃতীয় খণ্ড.djvu/৫৬১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মোমাই। ○ QQを আমরা আশ্চৰ্য্য দেখি, যে ঔষধের গুণ হঠাৎ আবিষ্কৃত হইয়াছে, তাহী যেমন উপকারী, মনুষ্য বুদ্ধিবলে যে ঔষধের গুণ স্থির করিয়াছেন, সে ঔষধ পীড়ার ততদূর হিতকর নয়। সিঙ্কোনা বাকের গুণ দৈবাৎ প্রকাশিত হয় । ম্যালেরিয়াজনিত জরে এটা মহৌষধ। সিঙ্কোনা কেন এতাদৃশ জরম্ন তাহা কেহই ব্যাখ্যা করিতে পারেন না—কিন্তু, ইহার অমৃততুল্য গুণ সকলেই মুক্তকণ্ঠে স্বীকার করেন। রক্তামাশয় রোগে ইপিক্যাক ও রক্তপ্রদরে গাজী— অব্যর্থ সন্ধান । কিন্তু তাহাদের উপকারিত হঠাৎ আবিষ্কৃত হইয়াছিল। বহুদিন অবধি একটী স্ত্রীলোকের রক্তপ্রদরের পীড়া ( Menarrhagia ) ছিল। রোগিণী তাহার প্রতীকারের নিমিত্ত অনেক চিকিৎসা করাইয়t. ছিলেন, কিন্তু কোন ঔষধে ফল দর্শে নাই। তৎপরে আবার তাহার স্নাযুশূল রোগ (Neuralgia) উপস্থিত হয়। অঙ্গ-গ্রহে স্ত্রীলোকটী যার পর নাই কাতর হইয়া ডাক্তার মাগুইরকে আনাইলেন। চিকিৎসক বেদনশাস্তির নিমিত্ত গাজার ব্যবস্থা করেন । এই ঔষধ রোগিণীর পূর্ব রোগের পক্ষে একেবারে ধন্বন্তরিস্করূপ হইল। রক্ত নিঃসরণ চির জন্মের মত অস্তদ্ধান করিল—তদঙ্গভূত স্নায়ুশূলের প্রভাব যেন স্বৰ্য্যবিম্ব-প্রতিফলিত মেঘবৈচিত্র্যের ন্যায় স্বৰ্য্য অস্তের সঙ্গে সঙ্গে বিলীন হইয়া গেল। চতুর চিকিৎসক বিলক্ষণ-অবেক্ষণ শক্তি সম্পন্ন ছিলেন। পূৰ্ব্ব পীড়া কেন নিরাকৃত হইল, অনেক বিচার করিয়া স্থির করিলেন,—গাজাই ঐ রোগ নিবারণের প্রধান কারণ,-গাজাই ঐ রোগের উপযুক্ত ঔষধ । তদবধি রক্তপ্রদর রোগে সকলেই গাজা ব্যবহার করিতে লাগিলেন । চিকিৎসার সম্বন্ধে বলিতেছি না,-সাধারণ বিষয়েই আমাদের দেশীয় লোকের অবেক্ষণ নাই বলিলেই চলে। চক্ষে কোন অদ্ভূত ব্যাপার দেখিলে বিস্ময়ান্বিত হইয়াই ক্ষাস্ত থাকেন, তাহার ভিতরে প্রবেশ করিয়া কোন তত্ত্ব অনুসন্ধান করেন না । যেখানে বড় আশ্চৰ্য্য দেখিলেন, তথায় দেবত্ব আরোপণ করিয়া মনের যুখে পূজা করিতে লাগিলেন। রাণীগঞ্জের পাথু রিয়া কয়লা আজ দুই দিন আবিষ্কৃত হয় নাই। ঐ সকল অঞ্চলের বৃদ্ধ লোকদের মুখে শুনিয়াছি, সকলেই ঐ কয়লা চিরকাল জানিত । দামোদর নদের গর্ভে বালুক রাশির উপর উহা অনেক পড়িয়া থাকিত, পুষ্করিণী খনন করিবার সময় অনেক উঠিত। বালকের ঘসিয়া উহাতে লিখিবার কালী প্রস্তুত করিত, ইত্তর লোকে স্ত্রালিয়। “ শীতকালে অগ্নি মেল=