পাতা:কল্পদ্রুম তৃতীয় খণ্ড.djvu/৫৮৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্রতিবাদ । ○ b^○ একমাত্র প্রয়াস—কিন্তু চক্রবেধ ব্যতিরেকে কাহারও মনোরথ সিদ্ধির উপায়াস্তর নাই ;–সেই চক্র বিদ্ধ করিতে কেহই সমর্থ হইলেন না, অবশেষে পার্থ বিচিত্র কৌশলে মৎস্যচক্র বিদ্ধ করিলেন । তৎকালে পঞ্চভ্রাতার কাহারও উদ্বাহ হয় নাই ;—যুধিষ্ঠির ও ভীম জ্যেষ্ঠ, পার্থ কনিষ্ঠ –আবার ভ্রাতৃগণ ভিন্ন ভিন্ন অংশে জন্মগ্রহণ করিয়াছেন। একজনে দ্রৌপদীকে গ্রহণ করিলে অপর ভ্রাতৃগণের বিদ্বেষের সঞ্চার হওয়া নিতান্ত অসম্ভব নহে । এই স্থলে আর একটা কথা স্মরণ করিতে হইবে –ধুতরাষ্ট্র পুত্ৰগণ তখন পাণ্ডবগণের প্রবল শক্র হইয়া দাড়াইয়াছেন ; ভ্রাতৃগণের একতা ব্যক্তি রেকে তাহদের সহিত দৈরসাধনের সাধ্য কি ? অতএব পাণ্ডবগণের মধ্যে একতাবন্ধন তখন অত্যাবশ্যক হইয়াfছল,—দ্রুপদনন্দিনী সেই একতা বন্ধনের একমাত্র সুত্র ;–এই সকল প্রবল কারণে পঞ্চজনে পাঞ্চালীর পাণিগ্রহণ করিয়াছিলেন। - - রাম নিৰ্ব্বাসনের ও পাণ্ডবগণের বনগমনের যে ভিন্ন ভিন্ন স্থারণ উভয় গ্রন্থে উক্ত হইয়াছে, তন্মধ্যে রাম-নিৰ্ব্বাসনের কারণ স্বাভাষ্ট্র ও যুধিষ্ঠিরের বন-গমনের কারণ নিকৃষ্ট বলিয়া রঙ্গলাল বাবু কবিকুল- ੇ বেদব্যাসের প্রতি কতকগুলি ব্যঙ্গোক্তি বর্ষণ করিয়াছেন। তিনি বলেন “ যুধিষ্ঠির রাজার ছেলে, কিন্তু লক্ষ্মীছাড়া গুলিথোর যেমন প্রকাশ্য হাটে বাজারে জুয়া থেলিয়া অগ্রে টাকা কড়ি পরে পরিধেয় বঙ্গ পর্য্যস্ত হারিয়া বিষন্নমুখে প্রস্থান করে, যুধিষ্ঠির ও তদ্রুপ পাশ থেলিয়। রাজ্য ঐশ্বৰ্য্য সমস্ত হরাইলেন, অবশেষে কুলকামিনী দ্রৌপদীকে লইয়া টানাটানি ইত্যাদি—” কিন্তু আমরা বলি রাম নিৰ্ব্বাসনের কারণ অপেক্ষা পাওঁবগণের নিৰ্ব্বাসনের কারণ অতীব সঙ্গত ;—দাবা খেলা ও পাশক্রীড়া ক্ষত্রিয়দিগের নিমিত্তই স্বল্প হইয়াছিল । ক্ষত্রিয় রাজগণ অতীব সংগ্রামপ্রিয় ছিলেন ; যখন কোন সংগ্রাম উপস্থিত না থাকিত, তখন র্তাহার দাবা কিম্বা পাশক্রীড়া করিতেন । খেলার নিয়ম যে পক্ষ জয়লাভ করে, তাহার উৎসাহ এবং যে পক্ষ পরাস্ত হয়,তাহার ক্রোধ ও জেদ উত্তরোত্তর উত্তেজিত হইতে থাকে। তুল্য প্রতিদ্বন্দ্বী জনের ব্যঙ্গ ও বিদ্রুপ অসহ্য হইয় উঠে। কিন্তু যে পক্ষ যতই হারুক না কেন, বাজির আরম্ভ কালে হারিব বলিয়া কেহই মনে করে না । জয়লাভের আশা অতীব প্রবল হইয় উঠে। সুতরাং যুধিষ্ঠির পাশক্রীড়ায় পরাস্ত হইয়া বনে গমন করিয়াছিলেন, ইহা নিতান্ত অসম্ভব বলিয়া বুেধি হয় না । বরং রাজা দশরথের,