পাতা:কল্পদ্রুম তৃতীয় খণ্ড.djvu/৬৭০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

○")* * কল্পদ্রতম | আজিমগঞ্জের অভিমুখে চলিলেন। ইন্দ্ৰ কহিলেন “ বরুণ! মুরশিদাবাদের অপরাপর বিষয় বল। ” বরুণ। মুরশিদাবাদ ভাগীরণীর উভয় তীরে অবস্থিত। এই সহর দৈর্ঘ্যে পাঁচ মাইল এবং প্রস্থে আড়াই মাইল হইবে। কাসিমবাজার, বহরমপুর, মতিঝিল, জিয়াগঞ্জ প্রভৃতি স্থান সকল মুরশিদাবাদের অন্তর্গত । মুরশিদাবাদে অনেক বড় বড় জমীদার ও সওদাগরের বাস করেন। এই স্থান কোরার কারবারের জন্য বিখ্যাত। এই কারবার উপলক্ষে পূৰ্ব্বে অনেক ধনী ইংরাজ ও ফরাসী এখানে কুঠি করিয়া বাস করিত। বহরমপুরের ১৬ মাইল দূরে জামুয়ার্কাদি নামক একটা স্থান আছে। জামুয়ার্কাদি দেওয়ান গঙ্গাগোবিন সিংহের জন্মভূমি। ইনি পাকপাড়ার রাজপরিবারের আদি পুরুষ। ঐ স্থানে তাহার প্রতিষ্ঠিত এক বিষ্ণুমূৰ্ত্তি আছেন। দেবমূৰ্ত্তির প্রত্যহ বেশ সমারোহের সহিত সেবা হয় এবং যত অতিথি উপস্থিত হউক কাহাকেও বিমুখ করা হয় না। রাসের সময় বড় সমারোহ হইয়া থাকে। নৃত্য গীত ইত্যাদির খরচ দশ হাজার টাকা বরাদ আছে। গঙ্গাগোবিন্দ সিংহ লর্ড হেষ্টিং সাহেবের দেওয়ান ছিলেন। এজন্য দেওয়ান গঙ্গাগোবিন্দ সিংহ কহে । ইনি মাতৃশ্ৰাদ্ধে বড় সমারোহ করিয়াছিলেন, পুষ্করিণী খনন করিয়া তাহা বৃতের দ্বারা পূর্ণ করিয়া উংসর্গ করা হইয়াছিল এবং বস্বদেশের যত জমীদারকে নিমন্ত্রণ করিয়া আনিয়া টাটকা জগন্নাথের প্রসাদ থাইতে দেওয়া হইয়াছিল। ঐ প্রসাদ তিনি কাথি হইতে পুরী পর্যন্ত অশ্বের ডাক বসাইয়া আনাইয়াছিলেন। জিয়াগঞ্জে মস্তরম বাবাজী নামক এক উদাসীন সাধুর মঠে অনেকগুলি হিন্দু দেব দেবীর প্রতিমূৰ্ত্তি আছে। ঐ মস্তরম, নবাব সিরাজ উদ্দৌলার সময় বৰ্ত্তমান ছিলেন। কথিত আছে—এক সময় সিরাজ উদ্দৌলা কোন হিন্দু রমণীর রূপে মোহিত হইয়া তাহার সতীত্ব নাশের চেষ্টা করিলে সতী সতীত্ব নাশের ভয়ে মস্তরামের কুটীতে যাইয় আশ্রয় গ্রহণ করেন। সিরাজ সন্ধান পাইয়া যখন র্তাহাকে ধরিতে লোক পাঠান, তাহাবা সাধুর কুটার দ্বার দিয়া ভিতরে প্রবেশ করিবার উদ্যোগ করিলে কুটারন্থ অগ্নিকুগু হইতে অগ্নিশিখা উখিত হইয়া এমনি বেগে ঐ লোকদিগের মুখে আসিয়া লাগিতে লাগিল ষে তাহারা পলাইয়া আসিতে বাধ্য হইল । নবাব এই অসম্ভব কথায় অবিশ্বাস করিয়া স্বয়ং রমণী লাভের প্রত্যাশায় কুটীরে যাইয়া উপস্থিত হষ্টলেন এবং সাধুর নিষেপ না শুনিয়া সতীর সতীত্ব নাশ করিবার অভিপ্রায়ে