१ २ কল্পদ্রুম। হইয়া দেখেন যগুণ যথা পাণ্ডারা আসিয়া তাহাদিগকে টোপ ঘেরা করিল। উহাদের আকার প্রকার যেমন কদৰ্য্য কথা তেমনি কর্কশ। দেখিলে আত্মাপুরুষ শুখাইয়া যায়। দেবতারা স্থির সিদ্ধাস্ত করিলেন এরা বোমবেটে ডাকাইত। বরুণ। পিতামহ, ঐ যে পিতলের স্তম্ভ দ্বারায় বেষ্টিত সন্ত্রীর্ণ গৃহমধ্যে দেবী মূৰ্ত্তি বসিয়া আছেন উনিই ভোগমায়া। মন্দিরের চতুর্দিকে দেখুন আরো অনেক দেবমূৰ্ত্তি রহিয়াছেন। এই সময়ে পাণ্ডাগণ পয়সার জন্য অত্যন্ত বিরক্ত করায় দেবতারা আর মন্দির মধ্যে প্রবেশ করিলেন না । একখানি গাড়ি ভাড়া করিয়া ৰিন্ধ্যাচল পৰ্ব্বত অধিষ্ঠাত্রী যোগুরায় (অষ্টভূজ বা বিন্ধুবাসিনী) দর্শনে চলিলেন। দূর হইতে বিন্ধ পৰ্ব্বত দেখিয়া ব্রহ্ম কহিলেন “ বরুণ, যদি ঐ পৰ্ব্বতের উপর যোগমায়া থাকেন তাহা হইলে না যাইয়া এস্থান হইতে ফিরিলেই ভাল হয়। কারণ আমার যেরূপ প্রাচীন শরীর এমন কি সাধ্য যে পাহাড়ে উঠে ঠাকুর দেখি ? ” বরুণ। আঙ্কে, উপরে উঠিতে কোন কষ্ট হইবে না দেবীর একজন ভক্ত অনেক অর্থ ব্যয়ে একটী সিড়ি প্রস্তুত করিয়া দিয়াছেন । ক্রমে গাড়ি আসিয়া সিড়ির সন্নিকটে উপস্থিত হইল। দেবতার প্রফুল্ল মনে হাত ধরাধরি কঞ্জিয় ধাপ ভাঙ্গিয়া উপরে উঠতে লাগিলেন। উঠিয়া দেখেন বৃহৎ বৃহৎ বৃক্ষশ্রেণী, তন্মধ্যে শিব মন্দির। মন্দিরাধ্যক্ষগণের বাস জন্য পৰ্ব্বত-গাত্রে অনেকগুলি গুহা খনন করা রহিয়াছে। স্থানটীর চতুর্দিকে বরিয়া সাধুগণ বেদ পাঠ করিতেছেন। দেবীমূৰ্ত্তি শৈলশিখরের কিয়দংশ গুহা খনন করিয়া তন্মধ্যে রাখা হইয়াছে। গৃহটা বৃহৎ নহে অনুনি দশজন মাত্র উপবেশন করিতে পারে। গুহের ছুইটী দ্বার। ব্ৰহ্ম । এ মূৰ্ত্তি প্রতিষ্ঠা করে কে ? বরুণ। যে সময়ে নারায়ণ দেবকীর অষ্টম গর্ভে জন্ম লয়েম ঠিক সেই দিন সেই সময়ে মহামায়াও যশোদার গর্ভে জন্মগ্রহণ করেন। নারায়ণ জন্মিবা মাত্র বসুদেবের প্রতি দৈববাণী হয় তুমি এই রজনীতে নিজ পুত্র যশোদার মুতিকাগৃহে রাখিয় তাহার কন্যাকে অপহরণ করিয়া আন। বহুদেব দৈববাণী অনুসারে দেবীকে বদল করিয়া আনিয় নিজ কারাগৃহে রাখিবামাত্র তিনি চীংকার শব্দে কাদিয়া উঠেন। প্রহরীগণ সেই ক্ৰন্দন শ্রবণে কংসৰে
