পাতা:কল্পদ্রুম - দ্বারকানাথ বিদ্যাভূষণ.pdf/১৩৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

| কল্পদ্রুম ילסאמו (ধাৰ্ম্মিক) স্ত্রীলোকদিগকে পূজা করিলে তদ্বারা প্রকৃতিরই পূজা করা হয়। মাতৃকুলের এবম্বিধ সন্মান রক্ষা করাই তৎকালিক উদারচেতা ধৰ্ম্মপরায়ণ আর্য্যদিগের স্বভাবসিদ্ধ ধৰ্ম্ম ছিল সন্দেহ নাই। এই রূপ পবিত্ৰচক্ষে স্ত্রীকুলকে দেখাতেই কুমারীপূজার বিধি অদ্যপি হিন্দুসমাজমধ্যে প্রচলিত দেখা যায়। এবম্বিধ সতীর মান রাখতেই আজও হিন্দুপুরন্ধীদিগের মধ্যে সতীত্ব ধৰ্ম্ম যেমন মহরিত্নরূপে আদৃত হইয়া থাকে, এমন পৃথিবীর অপর কোন দেশে হয় কি না সন্দেহ। এইরূপ বিশুদ্ধ ভাব হইতেই অদ্যাপি হিন্দুকুলে এয়ে স্ত্রী অথবা সধবা পূজার রীতি প্রচলিত দেখা যায় এবং সতী সাধী পতিবত্নী সরলাদিগকে মাতৃবং ও দেবীবং অর্চনা করিবার অনুশাসন প্রাপ্ত হওয়া যায়। ইহা সামান্য জাতীয় গৌরবের বিষয় নহে। এইরূপ সদাচরণ হইতে হিন্দুসমাজের ধৰ্ম্মনীতি এত সুদৃঢ় ছিল, সেই আচারই পরে স্মৃতিশাস্ত্রে স্বত্ররূপে পরিণত হইয়াছে (১১)। আচার অথবা অনুষ্ঠান দ্বারা যেমন মানব জীবন এবং মানবজাতির আভ্যন্তরিক অবস্থা অবগত হওয়া যায় এমন অন্য কোন উপায় স্বারা হয় না । এই জন্যই ইংরাজেরা আচার ব্যবহারকে এত উচ্চাসন দিয়া সমাজের গৌরব রক্ষা করিয়া থাকেন। তাহরে বলেন যে আচার দ্বারা মনুষ্যজীবন সংগঠিত হয় ( ১২ ) । মনু বলেন –

  • এবমাচারস্তোদৃষ্ট ধৰ্ম্মস্য মুনয়োগতিং । সৰ্ব্বস্য তপসে মুলমাচারং জগুহু: পরং । o মনুস্মৃতি ১১০ । ১ অধ্যায় ।

অর্থাৎ মুনিগণ আচার দ্বারা ধৰ্ম্মের প্রাপ্তি অবগত হইয়া আচারকেই সকল তপস্যার প্রধান কারণ বলিয়া গ্রহণ করিয়াছেন । পাছে স্ত্রীলোকের প্রতি কখন অসদাচরণ করিয়া জীবন কলুষিত হয়, এই জন্য বিবাহ মন্ত্রমধ্যে জায়াপতীর কেবল পাণিগ্রহণ নয়,কেবল মালাবদল নয়, কেবল শুভদৰ্শন নয়, কেবল বস্ত্রে বস্ত্রে গ্রন্থিবন্ধন নয়, কিন্তু সৰ্ব্বসম্মুখে ইষ্ট দেবতাকে সাক্ষী করিয়া উভয় উভয়কে পবিত্রভাবে এই মন্ত্রে সম্বোধন করিয়া অঙ্গীকারে চির-জীবনের মত আবদ্ধ হইলেন । যথা— (>> ) Manners are of inore importance than laws, upon them, in a great measure the laws depend. ( Burke) ( 3 R ) Manuers make inan. ( Dr Johnson )