পাতা:কল্পদ্রুম - দ্বারকানাথ বিদ্যাভূষণ.pdf/১৫৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Ꮌ☾8 কল্পদ্রুম । পারা যায়, তাহা বোধ করি বহুদশি মাত্রেরই স্বীকার করিতে হইবে। অপিচ রাজতরঙ্গিণী, রাজাবলি, অম্বষ্ঠসম্পাদিক ও লঘু ভারত (১) প্রভৃতি কয়েকখানি ইতিহাসে বহুসংখ্যক রাজাদের জীবন চরিতও সন্নিবেশিত দেখিতে পাওয়া যায়। এমত অবস্থায় র্যাহারা ইতিহাস ইতিহাস বলিয়া হায় হায় শব্দ করেন, র্তাহারা যে আমাদের কোথায় কি আছে ভ্ৰমেও কোন দিন সে অনুসন্ধান করিয়াছিলেন এমন বোধ হয় না। র্তাহাদের সে চেষ্টা থাকিলে ঐরূপ হায় হায় শব্দের যে অনেক নিবারণ হইত তাহার আর সন্দেহ নাই। অনন্তর ইংরাজ ও বাঙ্গালিদিগের কৃত যতগুলি ইতিহাস আমরা দেখিতে পাই, তাহার কোন ইতিহাসেরই উল্লিখিত পুরণ কি ইতিহাসের সহিত (সম্পূর্ণ ঐক্য না থাকিলেও) বিরোধ দেখিতে পাওয়া যায় না। কল্পদ্রুমে বল্লালসেন সম্বন্ধে যে প্রবন্ধ প্রকাশিত হইয়াছে, তাহার প্রতিবাদ করা আমার এ প্রস্তাবের উদেশ্য । কল্পদ্রুম-প্রবন্ধ-লেখক বল্লালসেন শব্দের যেরূপ অর্থ করিয়াছেন,তাহ ব্যাকরণসঙ্গত হয় নাই, প্রথমে জাহাই প্রদর্শিত হইতেছে ! “ নাম্যস্তার্থেই চোখ: ” মুগ্ধবোধ ব্যাকরণের টীকাকার এই স্থত্রের অর্থ করিয়াছেনঃ–“ অচোৰ্থঃ স্যাং অস্ত্যৰ্থেষু প্রত্যয়েযু নামি বাচ্যে ”। শব্দের অস্তস্থিত অচের দীর্ঘ হয় অস্ত্যর্থ প্রত্যয় পরেতে নান বুঝিতে । পাঠক আমরা যার পর নাই বিস্ময়ে পতিত হইয়াছি, বল্ল শব্দের উত্তর তঙ্গিতের ল প্রত্যয় করিয়া নাম বুঝইতে বল্ল শব্দের আকারের দীর্ঘ হইয়া যে বল্লাল হইয়াছে, তাহা কল্পদ্রুম-প্রবন্ধ-লেখক স্বয়ং আমাদিগকে দেখইয়াছেন, কিন্তু বল্লালই যে একটা নাম তাহা তিনি স্বীকার করেন নাই। অতএব আমরা তঁহাকে জিজ্ঞাসা করি মরাল, মৃণাল, রসাল, স্বামী ও গাওঁীব প্রভৃতি কি নাম নয় ? মুগ্ধবোধের এই স্বত্রের তাৎপৰ্য্যই এই যে নাম না বুঝাইলে উক্ত প্রত্যয় করিয়া অচের দীর্ঘ হইবে না ; যেমন মাংসল হেমল ও- বৎসল ইত্যাদি । -廳 “ বল্লঙ স্কৃতৌ ”। বোপদেবকৃত ধাতু পাঠের এই স্বত্র দ্বারা প্রবন্ধ লেখক বল্প শব্দের বিস্তার অর্থ করিয়াছেন । কিন্তু উহার কেবল বিস্তারার্থ নহে। বিস্তার, ভূমি, কর্ষ (দুই তোলা) বল ও সম্যক বল সচরাচর বল্প শব্দের ( ১ ) এই গ্রন্থগানি পুরাণাদি শাস্ত্র, রাজ তরঙ্গিণী ও রাজাবলি প্রভৃতি ইতিহাস অবলম্বন কীিয় রচিত হইয়ছে । ইহতে রাজ যুধিষ্ঠর হইতে বর্তমান সময়বিধির ইতিবৃত্ত উত্তমরূপ জানিতে প{স যায় ।