পাতা:কল্পদ্রুম - দ্বারকানাথ বিদ্যাভূষণ.pdf/২১০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২১ e কল্পঙ্কম । wo “ নৈনং সেতুমহোরাত্রে তরতঃ ন জরা ন মৃত্যুন শোকে ন মুক্তং ন ছুষ্কৃতং । সৰ্ব্বে পাপানোইতোনিবৰ্ত্তত্তে । অপহতপাপাহোষ ব্ৰহ্মলোকঃ । তস্মাদবাএতং সেতুং তীত্ব অন্ধঃ সন্ননন্ধোভবতি বিন্ধঃ সন্নবিদ্ধে ভবতি, উপতাপী সন্নোপতাপী ভবতি । তস্মাম্বা এতং সেতুং তীত্বাপি নক্তমহরেবাতিনিম্পদ্যতে। সক্দ্বিভাতোহোবৈষ ব্রহ্মলোকঃ ॥ " অর্থাৎ এই আত্মার সেতুর এপারে দিন রাত্রি হইতেছে, ও পারে দিন ও রাত্রি নাই ; সুকৃতিও নাই দুষ্কৃতিও নাই ; ইহা পুণ্যালোকে সৰ্ব্বদা উজ্জল ও পবিত্র আছে । জীব ইহার পর পারে গমন করিলে পাপ হইতে পরিত্রাণ পায়, এই পাপবিহীন লোকের নাম ব্রহ্মলোক । এই সেতুর পর পারে যাইয়। যে অন্ধ, সে অনন্ধ হয় ; যে সংসার দুঃখে-বিদ্ধ, সে মুক্ত হয় ; যে পাপতাপে পরিতাপিত, সে পরিতাপবিহীন হয়। এই সেতু পারে রাত্রি দিনের ন্যায় উজ্জ্বল। ইহাই ব্রহ্মলোক। ইহার দিবালোক কখন অস্ত, অপ্রকাশিত বা নিৰ্ব্বাণ হয় না। সৰ্ব্বদা প্রকাশিত আছে। এক্ষণে বিবেচনা করিয়া দেখুন, হিন্দুগণ দেহ ত্যাগের পর আত্মার কেমন মুন্দর অবস্থিতির স্থান নির্দেশ করিয়াছেন । ইহার অপেক্ষ কল্পনাবলে ক্ষুদ্রবুদ্ধি মনুষ্য দ্বারা পরিণামরূপ ঘোর অন্ধকারের চিত্র আর কি স্বন্দরক্সপে চিত্রিত হইতে পারে ? ইহাই যথেষ্ট । যাহা হউক, ব্ৰহ্মলোকের কথা শুনিয়া হয় ত পাঠক ! আপনার ভাবিবেন আমি পর জন্মে এই ব্ৰহ্মলোক প্রার্থনা করি। কিন্তু তাহা নহে! আমার আশা বৈতরণী নদী স্বরূপ। ইহার পার নাই। আমি এ লোক চাহি না, আমার জন্য দ্বিতীয় আর একটী লোক আছে। তাহার কথা স্পষ্ট করিয়া বলিব না। অনুভবে বুঝিয়া লইবেন। মৃত্যুর পর আত্মা পরমাত্মায় মিলিত হইলেন, কিন্তু পাঞ্চভৌতিক দেহক্ষিতি-মপতেজঃ-মরুং-ব্যোম এই পঞ্চ ভূতে (২) মিলিত হইলে তাহার দশা কি হইয়া থাকে ? শাস্ত্রে আছে, প্রকৃতির দুইটা গুণ । একটর নাম অপর অন্যের নাম পরা। পঞ্চভূতে পঞ্চভূত মিশাইলে আবার তাহ কালবশে বিশ্বের নিয়মে প্রকৃতির অপরা গুণে জড়দেহরূপে উৎপন্ন হয় ; পরে পরা-প্রকৃতি জীবরূপে দেহে অবস্থান করিয়া স্বকৰ্ম্মমুযায়ী কৰ্ম্মফলভোগ έμψ φωακαώmω-μαμα (২) এখন আর সে বিলুদিগের পঞ্চস্থত নাই। বিলাতী • স্থত আদি সে পুরাতন করিয়া মারিতেছে । **