\) o - কল্পদ্রুম | স্থানটীতে এসে মনে যেন এক অভিনব ভাবের উদয় হইল। আলোস দেবীর উৎপত্তি কারণ কি বক্ষণ? ' ' * = বরুণ। দক্ষীমৰ শিবমিন্দা শ্রবণে সতী প্রাণত্যাগ করিলে দেবাদিদেব মহাদেব ক্ষিপ্ত প্রায় হইয়া সেই মৃতশরীর মস্তুকে বহন করিয়া ত্রিলোক ভ্রমণ করিতে লাগিলেন। নারয়ণ তদর্শনে নিজ চক্র দ্বারায় ঐ শব ৫২ খণ্ডে বিভক্ত করেন। সেই ৫২ খণ্ডের এক এক খং যে যে স্থানে পতিত হয় দেবী সেই সেই স্থানে অদ্যাপি এক এক মূৰ্ত্তিতে বিরাজ করিতেছেন। প্রয়াগে তাহার দক্ষিণ হস্তের দশ অঙ্গুলি পড়ায় আলোপী দেবী মূৰ্ত্তি হইয়াছেন। দেবগণ মন্দিরে প্রবেশ করিয়া দেখেন দেবী এক বৃহৎ তাম্র সিংহাসনের উপর বিরাজ করিতেছেন। মন্দিরের চতুর্দিকে বসিয়া ব্রাহ্মণগণ মুমধুর স্বরে বেদ পাঠ করিতেছেন। এস্থানু হইতে দেবতারা মুখুর্য্যে ব্রাহ্মণদিগের পূর্ব পুরুষ বিখ্যাত ভরদ্বাজ আশ্রম দেখিতে চলিলেন। রাস্তার উভয় পাশ্বে শ্রেণীবদ্ধ বৃক্ষ থাকায় সন্ধ্যার পূৰ্ব্বে বড় শোভা ধারণ করিয়াছিল। . যাইয়া দেখেন অনেকগুলি শিবমন্দির রহিয়াছে। র্তাহারা উপস্থিত হইবামাত্র পাণ্ডাদিগের যুবতী কন্যারা পয়সার জন্য এমন বিরক্ত করিতে লাগিল যে পলাইয়া আসিতে বাধ্য হইলেন। দেবগণ সে রাত্রি পদোর মার দোকানে কম্বল মুড়ি দিয়া কাটাইয়া প্রাতে বেণীঘাট মান করিতে চলিলেন। উপস্থিত হইয়া ব্ৰহ্মা কহিলেন “ বরুণ, এই মন্দিরাধিষ্ঠিত বিষ্ণু মূৰ্ত্তির , নাম কি ? ” বরুণ। বিষ্ণু মূৰ্ত্তির নাম বেণীমাধব । বেণীমাধবের নাম অনুসারে ঘাটের নাম বেণীমাধবের ঘাট হইয়াছে। স্ত্রীরামচন্দ্র বনবাস যাইবার সময় এই ঘাটে পার হইয়াছিলেন। পার হইয়া কিছুদূর যাইলে তাহার গুহক চণ্ডালের সহিত সাক্ষাৎ হয়। ইন্দ্র। পরপারে ও বাড়ী ঘর কাহার ? বরুণ । হবাচন্দ্র রাজার। লোকে যে কথায় বলে “ হবাচন্দ্র রাজার গবাচন্দ্র মন্ত্ৰী” সেই হবাচন্ত্র রাজা ঐ স্থানে রাজ্য করিতেন। ইন্দ্র । হবাচন্দ্র রাজার রাজ্য শাসন কিরূপ ? ' বরুণ। শিখে লও তোমার উপকার দেখিতে পারে। দহবাচন্দ্র দেখিলেন সকল রাজাই দিবসে রাজকাৰ্য আলোচনা করেন। এবং বাজারে চাল,
