२४० কল্পদ্রুম | য়াছে; কিন্তু অতুল ভুজবীৰ্য্যশালী প্রাচীন গ্রীস ও রোম প্রভৃতির ইতিহাসের যদি পৰ্য্যালোচনা করিয়া দেখা যায়, তত্ত্বৎ দেশে তাহাদিগের যে কি প্রকার প্রাচুর্ভাব ছিল, তাহা সুন্দরন্ধপে লক্ষিত হয়। যেখানে যত প্রাচুর্ভাব থাকুক, বঙ্গদেশের প্রতি র্তাহাদিগের যেরূপ অনুগ্রহ, এ প্রকার অনুগ্রহ আর কুত্রাপি হয় নাই। এখানে সত্য জেতা দ্বাপর ও কলি এই চারি যুগেরই আরাধ্য দেবতার সবিশেষ অনুকম্প আছে। বৈদিক সময়ের অনল অনিল সলিলাধিদেব ও স্বর্য চন্দ্রাদি এবং পৌরাণিক ও তান্ত্রিক সময়ের হরি হর বিরিঞ্চি জগদ্ধাত্রী প্রভৃতিই যে কেবল বঙ্গদেশে পূজা লাভ করিয়াছেন, এরূপ নয়, ইতর জাতীয়ের ও রমণীগণও ষষ্ঠ মাকাল দক্ষিণরায় কালুরায় প্রভৃতি অসংখ্য দেব দেবীর স্বষ্টি করিয়াছেল । এখন পাঠক জিজ্ঞাসা করিবেন, বঙ্গদেশে এত দেব দেবীর পূজা পদ্ধতি প্রচলিত হইবার কারণ কি ? বঙ্গবাসীর প্রতি জগদীশ্বরের বিশেষ কৃপাই তাহার কারণ। মানুষের প্রতি ঈশ্বরের যে কেমন কৃপা হয়,পুরাতন বাইবলের এগজোডস নামক গ্রন্থভাগ হইতে কিয়দংশ উদ্ধৃত করিয়া দিতেছি, তদ্ভূত্তান্ত পাঠ করিলেই পাঠক বুঝিতে পারিৰেন, বঙ্গদেশের প্রতি র্তাহার অসাধারণ কৃপা হওয়া অসম্ভাবিত নহে । বাইৰলের উদ্ধৃত অংশ এই— “এক্ষণে মোজেজ তাহার শ্বশুর সিডিয়ার পুরোহিত জেথ বোর পশুপাল পালন করিতেছিলেন । তিনি ঐ পালকে বনের পাশ্বভাগে লষ্টয়া গেলেন এবং ক্রমে ঈশ্বরের পর্বত হোরেবের নিকট উপস্থিত হইলেন। ২ । ঈশ্বরের দূত ৰূপী জঙ্গলের মধ্য হইতে অগ্নিময়রূপে র্তাহার সম্মুখে উপস্থিত হইলেন। তিনি চাহিয়া দেখিলেন,জঙ্গল অগ্নিতে জলিতেছে ; কিন্তু জঙ্গল ভস্মীভূত হইল না। * ৩। মোজেজ বলিলেন, আমি ফিরিয়া দেখি, জঙ্গল কেন পুড়িয়া ভস্মসাৎ হইল না। । ৪ । যখন ঈশ্বর দেখিলেন যে মোজেজ ফিরিয়া দেখিতেছেন, তখন তিনি জঙ্গলের মধ্য হইতে মোজেজ মোজেজ বলিয়া ডাকিলেন । মোজেজ বলিলেন এই আমি । n ৫। ঈশ্বর বলিলেন তুমি নিকটে আসিও না, তোমার পা হইতে জুতা খুলিয়া কেল, কারণ ; ষে স্থানে ভূমি দাড়াইয়া আছ উৎ পৰিত্ৰ ভূমি। ৬ । তিনি আরও বদিলেন যে আমি তোমার পিতার দেবতা, এৰাহা
